বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: আইসিসি।
তৃতীয় এক ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে ১৭৯ রানে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে এক দিনের সিরিজ় জিতল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে সুপার ওভারের সহজ সুযোগ নষ্ট করে হেরে গিয়েছিলেন মেহদি হাসান মিরাজ়েরা। বৃহস্পতিবার প্রথম থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটারেরা। প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ করে ৮ উইকেটে ২৯৬ রান। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ইনিংস শেষ হয় ৩০.১ ওভারে ১১৭ রানে।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মিরাজ। সুযোগ কাজে লাগান বাংলাদেশের দুই ওপেনার সইফ হাসান এবং সৌম্য সরকার। প্রথম উইকেটের জুটিতে তাঁরা ২৫.২ ওভারে তোলেন ১৭৬ রান। সইফ করেন ৭২ বলে ৮০ রান। ৬টি চার এবং ৬টি ছয় মারেন তিনি। সৌম্যের ব্যাট থেকে এসেছে ৮৬ বলে ৯১ রানের ইনিংস। ৭টি চার এবং ৪টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। তিন নম্বরে নেমে তৌহিদ হৃদয় করেন ২৮ রান। চার নম্বরে নামা প্রাক্তন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৫৫ বলে ৪৪ রান করেছেন। বাংলাদেশের অন্য ব্যাটারেরা অবশ্য দলের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারলেন না। শেষ দিকে নুরুল হাসান (অপরাজিত ১৬) এবং মিরাজ় (১৭) অল্প রান বাড়িয়ে নেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের সফলতম বোলার আকিল হোসেন ৪১ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। ৩৭ রানে ২ উইকেট অ্যালিক অ্যাথানাজ়ের। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন রোস্টন চেজ এবং গুড়াকেশ মোতি।
জয়ের জন্য ২৯৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। তাদের কোনও ব্যাটারই ২২ গজে থিতু হতে পারেননি। অ্যাথানাজ় (১৫), ব্র্যান্ডন কিং (১৮), অ্যাকিম অগুস্টে (০), কেসি কার্টি (১৫), সাই হোপ (৪), শার্ফেন রাদারফোর্ড (০), জাস্টিন গ্রেভসেরা (১৫) পর পর আউট হয়ে যান। বাংলাদেশের দুই বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ এবং তনবির ইসলামের বল বুঝতেই পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ব্যাটারেরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের পক্ষে সর্বোচ্চ রান হোসেনের ১৫ বলে ২৭।
বাংলাদেশের সফলতম বোলার নাসুম ১১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ১৬ রানে ২ উইকেট তনবিরের। ৫৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট রিশাদ হোসেনের। ৩৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক মিরাজ়।