ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীর। —ফাইল চিত্র।
গৌতম গম্ভীর কি এর পরও ভারতীয় দলের কোচ থাকবেন? এটিই এখন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। তাঁর কোচিংয়ে দেশের মাটিতে দু’টি টেস্ট সিরিজ়ে চুনকাম হয়েছে ভারত। তার পরেও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে পাশে পাচ্ছেন গৌতম গম্ভীর। বোর্ডের সচিব দেবজিৎ শইকীয়া জানিয়ে দিয়েছেন, এখনই গম্ভীরকে নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চান না তাঁরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ভারত চুনকাম হওয়ার পর ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’কে শইকীয়া বলেন, “বিসিসিআই তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত নেয় না। আমরা আমাদের দীর্ঘকালীন পরিকল্পনা অনুযায়ীই চলব। হার-জিত খেলার অঙ্গ। কয়েকটা ম্যাচ দেখে কিছু বদল করতে চাই না। যদি সত্যিই বদলের দরকার পড়ে, তা হলে সেটা নির্দিষ্ট সময়ের পরেই নেব।” আপাতত ২০২৭ সালের এক দিনের বিশ্বকাপ পর্যন্ত ভারতের কোচের দায়িত্ব রয়েছে গম্ভীরের হাতে। নির্দিষ্ট সময় বলতে হয়তো সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন শইকীয়া।
লাল বলের ক্রিকেটে লাগাতার ব্যর্থতার পর ‘ট্রানজ়িশন’ সময়ের কথা শোনা গিয়েছে গম্ভীরের মুখে। সেই একই কথা বলেছেন শইকীয়াও। ভারতের টেস্ট দলের এই হালের জন্য তিন ক্রিকেটারের অবসরের কথা শুনিয়েছেন তিনি। শইকীয়া বলেন, “কয়েকটা বিষয় বুঝতে হবে। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতো ক্রিকেটার টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছে। নতুন ক্রিকেটারেরা তাদের জায়গায় এসেছে। এখন ভারতীয় দল একটা ট্রানজ়িশনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাই সময় তো দিতেই হবে। আমরা টেস্টে আবার শীর্ষস্থান দখল করব।”
দেশের মাটিতে টেস্টে ভারতের খারাপ হালের জন্য ক্রিকেটারদের উপরেই দায় চাপিয়েছেন শইকীয়া। তাঁর মতে, পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেদের বদলাতে হবে ক্রিকেটারদের। তিনি বলেন, “আবহাওয়া, পিচ থেকে প্রতিপক্ষ, সব কিছুর সঙ্গে নিজেদের খাপ খাওয়াতে হবে ক্রিকেটারদের। টেস্ট ক্রিকেটারদের যে কোনও পরিবেশে মানিয়ে নিতে হবে। দিলীপ বেঙ্গসরকার, সুনীল গাওস্করেরা সেটাই করতেন। দেশে ও বিদেশের মাটিতে পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেদের বদল করতেন। সেটাই তো টেস্ট ক্রিকেটে সৌন্দর্য্য।”
উল্লেখ্য, বুধবার সিরিজ় হারের পর নিজের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে গম্ভীর বলেছিলেন, “এটা তো বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। আমি আগেও একটা কথা বলেছি, আজও বলছি। ভারতীয় ক্রিকেট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আমি নই। মনে রাখবেন, আমি সেই একই লোক যে ইংল্যান্ডে ভাল ফল করেছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং এশিয়া কাপ জিতেছে।”
উল্টে গম্ভীর দোষ চাপিয়েছিলেন বাকিদের উপরেও। বলেছিলেন, “সকলেই এই হারের জন্য দায়ী। তবে দায়টা আমার থেকে শুরু হচ্ছে। আমাদের অনেক ভাল খেলতে হবে। ৯৫/১ থেকে ১২২/৭ হয়ে যাওয়া মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। কোনও নির্দিষ্ট ক্রিকেটার বা কোনও নির্দিষ্ট শটকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না। সকলে সমান ভাবে দায়ী। আমি কখনও কাউকে দোষ দিইনি। আগামী দিনেও সেটা করব না।” বোর্ড কর্তাদের মনোভাব থেকে পরিষ্কার, তাঁরাও গম্ভীরকে এখনও পর্যন্ত দায়ী করছেন না।
Post Copy: গম্ভীরের পাশে বোর্ড
Card: