ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীর। ছবি: পিটিআই।
নিউ জ়িল্যান্ডের পর দক্ষিণ আফ্রিকা। এক বছরের মধ্যে দেশের মাটিতে দু’বার টেস্ট সিরিজ়ে চুনকাম হল ভারত। বুধবার গুয়াহাটিতে হারার পর জোরালো হয়েছে গৌতম গম্ভীরকে কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার আওয়াজ। তবে ভারতের কোচ স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বিসিসিআই। তিনি নিজে থেকে সরবেন না। পাশাপাশি নিজের অতীত কীর্তির কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন।
তাঁকে কি এ বার সরিয়ে দেওয়া হবে? বুধবার ম্যাচের পর এ প্রশ্নের উত্তরে গম্ভীর বলেছেন, “এটা তো বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। আমি আগেও একটা কথা বলেছি, আজও বলছি। ভারতীয় ক্রিকেট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আমি নই। মনে রাখবেন, আমি সেই একই লোক যে ইংল্যান্ডে ভাল ফল করেছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং এশিয়া কাপ জিতেছে।”
তিনি আরও বলেন, “সকলেই এই হারের জন্য দায়ী। তবে দায়টা আমার থেকে শুরু হচ্ছে। আমাদের অনেক ভাল খেলতে হবে। ৯৫/১ থেকে ১২২/৭ হয়ে যাওয়া মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। কোনও নির্দিষ্ট ক্রিকেটার বা কোনও নির্দিষ্ট শটকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে। সকলে সমান ভাবে দায়ী। আমি কখনও কাউকে দোষ দিইনি। আগামী দিনেও সেটা করব না।”
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় টেস্টের পঞ্চম দিনের স্কোরকার্ড।
তবে চুনকাম নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই বিরক্ত ভারতের কোচ। তিনি নিউ জ়িল্যান্ডের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার তুলনাই করতে চাইলেন না। বলেছেন, “নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে আমাদের একটা আলাদা দল ছিল। এখন আলাদা দল রয়েছে। আমি নিশ্চিত আপনারা (সংবাদমাধ্যম) অনেক ক্রিকেট ম্যাচ কভার করেন। তা হলে এটাও জানবেন যে দুটো দলের ব্যাটিং বিভাগের কোনও তুলনা হয় না। দুটো দলের মধ্যে অভিজ্ঞতাতেও আকাশ-পাতাল তফাত রয়েছে।”
গম্ভীরের সংযোজন, “সব সময় সব কিছুর সঙ্গে নিউ জ়িল্যান্ড সিরিজ়ের তুলনা টানা উচিত নয়। ওই সিরিজ়ের চার-পাঁচ জন ক্রিকেটার এখন রয়েছে। আমি অজুহাত দিই না। ভবিষ্যতেও দেব না। কিন্তু খতিয়ে দেখলে বুঝবেন, প্রথম আটের মধ্যে চার-পাঁচ জন ব্যাটার ১৫ বা তারও কম টেস্ট খেলেছে।”
গম্ভীরের আশা, এই হার থেকে ক্রিকেটারেরা অনেক কিছু শিখবেন। ভারতের কোচ বলেছেন, “ওরা ধীরে ধীরে নিজেকে উন্নত করবে। এখন নিজেদের কাজটা ভাল করে শিখছে। টেস্ট ক্রিকেট খেলা মোটেই সহজ নয়। বিশেষ করে যখন সেরা মানের দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামবেন। তাই জন্যই ওদের সময় দিতে বলছি। চাপ সামলানোর জন্য সময় দিতে হবে ওদের। ধীরে ধীরে ভাল দলের বিরুদ্ধে ভাল খেলতে শিখে যাবে।”