Ranji Trophy 2025-26

সৌরভ সিএবি সভাপতি হওয়ার পর প্রথম ম‍্যাচেই ইডেনের পিচ নিয়ে ক্ষোভ বাংলার, জিতলেও আকাশ-শামির ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন

রঞ্জি ট্রফির প্রথম ম্যাচে চেনা ফর্মে পাওয়া যায়নি মহম্মদ শামিকে। তাঁকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ব্যাটারদের ভুলের জন্য। প্রায় একই অবস্থা আকাশ দীপেরও। যদিও ইডেনের ২২ গজ নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে বাংলা শিবিরে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:৫৫
Share:

(বাঁ দিকে) আকাশদীপ এবং মহম্মদ শামি (ডান দিকে)। ছবি: পিটিআই।

রঞ্জি ট্রফির প্রথম ম্যাচে উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে জিতল বাংলা। শনিবার মহম্মদ শামি, অভিমন্যু ঈশ্বরণেরা ৮ উইকেটে জিতলেও বাংলা শিবিরে অসন্তোষ। ইডেন গার্ডেন্সের পিচ খুশি করতে পারেনি বাংলার ক্রিকেটারদের। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় দ্বিতীয় বার সিএবি সভাপতি হওয়ার পর ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচ খেলল বাংলা। সেখানেই প্রশ্ন উঠে গেল ২২ গজ নিয়ে। ঠিক যেমন প্রশ্ন থাকল আকাশদীপ এবং ম্যাচের সেরা মহম্মদ শামিকে নিয়েও।

Advertisement

প্রথম ম্যাচ থেকে ছয় পয়েন্ট এলেও খুশি নয় বাংলা শিবির। ইডেনের ২২ গজ নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। বাংলার ক্রিকেটারদের অভিযোগ, পিচে দু’রকম গতি রয়েছে। কখনও কখনও বল নীচু হয়ে যাচ্ছে। ব্যাট করতে সমস্যা হচ্ছে। বোলারেরাও তেমন সাহায্য পাচ্ছেন না। ঘটনা হল, সৌরভ সিএবি সভাপতি হওয়ার পর এই প্রথম ইডেনের উইকেটের পরীক্ষা হল। আর ঘরের ছেলেরাই উইকেটকে নম্বর দিলেন না।

শুক্রবার চতুর্থ দিনের খেলার পর সহকারী কোচ অরূপ ভট্টাচার্য প্রকাশ্যেই নাকি সিএবি সহ-সভাপতি নিশীথরঞ্জন দত্তকে বলেছিলেন, ‘‘এটা কেমন পিচ? আমরা তো ঘরের মাঠে খেলার সুবিধাই পাচ্ছি না। শামি, আকাশদীপ কি বোলার হিসাবে এতটাই খারাপ?’’

Advertisement

মরসুমের প্রথম ম্যাচেই কেন এমন অভিযোগ? ইডেনের কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় অবশ্য পিচ নিয়ে অভিযোগ মানতে নারাজ। তিনি বললেন, ‘‘উইকেটে বাউন্স কম! কে বলল? প্রতিপক্ষ দল তো পিচের প্রশংসা করে গেল। আমার কাছে বাংলা দল থেকেও কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। আমার কিছু জানা নেই। যাঁরা খেলা দেখেছেন, তাঁরাও কেউ বলেননি পিচ খারাপ হয়েছে। তাঁরা জানেন কেমন পিচ হয়েছে।’’

তৃতীয় দিনের শেষে উত্তরাখণ্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের রান ছিল ২ উইকেটে ১৬৫। সেখান থেকে শনিবার তাদের ইনিংস শেষ হয় ২৬৫ রানে। এর পর জয়ের জন্য বাংলার প্রয়োজন ছিল ১৫৬ রান। অধিনায়ক অভিমন্যু ৭১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়লেন। প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতা ঢাকলেন দলকে জিতিয়ে। তাঁর সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে প্রয়োজনীয় জুটি তৈরি করলেন সুদীপ ঘরামি (৪৬)। ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের রান তুলে নেয় বাংলা। এর আগে উত্তরাখণ্ডের ইনিংস দ্রুত শেষ করে দেন শামিরা। প্রথম ইনিংসে ৩৭ রানে ৩ উইকেট নেওয়া শামি দ্বিতীয় ইনিংসে নিলেন ৩৮ রানে ৪ উইকেট। তিনি ম্যাচের সেরা। কিন্তু ম্যাচে তাঁর ৭ উইকেটের ৬টিই টেল এন্ডারদের। প্রতিষ্ঠিত ব্যাটারদের মধ্যে তাঁর একমাত্র শিকার উত্তরাখণ্ডের অধিনায়ক কুণাল চান্ডেলা (৭২)। অন্তত এই ম্যাচে শামিকে চেনা ফর্মে দেখা যায়নি। উইকেট পাওয়ার জন্য ব্যাটারদের ভুলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। একই অবস্থা ভারতীয় দলের আর এক জোরে বোলার আকাশেরও। তিনি ৭৯ রানে ২ উইকেট নিলেন। ৬৩ রানে ২ উইকেট ঈশান পোড়েলের। উত্তরাখণ্ডের হয়ে চান্ডেলা এবং উইকেটরক্ষক-ওপেনার প্রশান্ত চোপড়া (৮২) ছাড়া বলার মতো রান কেউ পাননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement