মহম্মদ শামি। —ফাইল চিত্র।
ইংল্যান্ড সফরের দলে জায়গা হল না মহম্মদ শামির। বাংলার পেসারকে অস্ট্রেলিয়া সফরেও নিয়ে যাওয়া হয়নি। টেস্ট ক্রিকেট থেকে কি বিদায় ঘটে গেল শামির? প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর যদিও বলছেন, শামি এখনও পুরোপুরি ফিট নন। আগামী দিনে সুস্থ হলে ইংল্যান্ডে পাঠানো হতেও পারে।
২০২৩ সালের এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিলেন শামি। তার পর থেকেই চোটের কারণে ভারতীয় দলের বাইরে ছিলেন। প্রত্যাবর্তন হয় এই বছরের শুরুতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ় দিয়ে। তার আগে বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছিলেন। সেই সময়ই বাংলা শিবির সূত্রে জানা গিয়েছিল, শামি টেস্ট খেলতে খুব একটা আগ্রহী নন। তাঁর শরীর পাঁচ দিনের ধকল নেওয়ার জন্য এখনও তৈরি নয়। কোমর এবং হাঁটুর চোট সারিয়ে ফিরলেও টানা সাত-আট ওভার বল করতে সমস্যা হচ্ছে তাঁর। তাই আইপিএল খেললেও টেস্টের জন্য এখনও তৈরি নন শামি।
ইংল্যান্ড সফরের দল ঘোষণার পর আগরকর বলেন, “শামি পুরোপুরি ফিট নয়। আমরা ভেবেছিলাম ওকে পাব, কিন্তু সেটা হচ্ছে না। দুর্দান্ত ক্রিকেটার ও। শামি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক এই কামনা করি।” প্রয়োজন ইংল্যান্ড সফরের মাঝে তাঁকে পাঠানো হতে পারে। যদিও এমনটা শোনা গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া সফরের সময়ও। কখনও বলা হয়েছিল তৃতীয় টেস্টের পর শামি খেলবেন। কখনও বলা হয়েছিল শামির ব্যাগ পৌঁছে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি অস্ট্রেলিয়া যাননি।
প্রশ্ন উঠছে আগামী দিনে শামিকে টেস্ট দলে আর দেখা যাবে কি না। আগামী দু’বছরে শুধু ইংল্যান্ড নয়, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউ জিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে টেস্ট রয়েছে ভারতের। শামি যদি আগামী দিনে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন এবং টেস্ট খেলার ধকল নিতে পারেন, তা হলে তাঁকে বসিয়ে রাখা যাবে না। যদিও সূত্রের খবর, শামি আর লাল বলের ক্রিকেট খেলতে চাইছেন না। ৩৪ বছরের শামি সাদা বলের ক্রিকেটেই খেলতে চাইছেন। টেস্ট খেলতে গেলে আবার চোট পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তার চেয়ে সাদা বলের ক্রিকেটে দু’-চার ওভার বল করা সহজ।
দেশের হয়ে ৬৪টি টেস্টে ২২৯টি উইকেট নিয়েছেন শামি। ব্যাট হাতে দু’টি অর্ধশতরানও আছে তাঁর। শামির সুইং যে কোনও ব্যাটারের কাছে বিভীষিকা। কিন্তু বয়স এবং চোট তাঁর হাত থেকে হয়তো লাল বল দূরে ঠেলে দিচ্ছে। যেমন জসপ্রীত বুমরাহ জানিয়ে দিয়েছেন, ইংল্যান্ডে তিনি সব টেস্ট খেলবেন না। চোট সারিয়ে ফিরলেও এখনই টানা পাঁচ টেস্ট খেলার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না বুমরাহ। শামিকেও তেমনই টেস্ট ক্রিকেটের পরীক্ষায় ফেলতে চাইছে না বোর্ড।
অন্য দিকে, অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়া ভারতীয় দলে থাকলেও ইংল্যান্ড সফরের দলে নেই হর্ষিত রানা এবং সরফরাজ় খান। অস্ট্রেলিয়া সফরে খুব একটা ভাল বল করতে পারেননি হর্ষিত। আইপিএলেও তেমন নজর কাড়তে পারেননি। সরফরাজ় অস্ট্রেলিয়া সফরে প্রথম একাদশে জায়গা পাননি। তাঁর ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। এর মধ্যে তিনি ১০ কেজি কমিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন নির্বাচকদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জায়গা হল না তাঁর।