অভিমন্যুকে (সামনে) আউট করার পর উল্লাস গুজরাতের চিন্তনের। ছবি: পিটিআই।
বাংলার ব্যাটারদের খারাপ শট খেলে আউট হওয়া এবং গুজরাতের নিয়ন্ত্রিত বোলিং। প্রথম দিন ইডেন গার্ডেন্সে এমন দৃশ্যই দেখা গেল। বাংলার তিন ব্যাটার অর্ধশতরান করলেন। তবে যাঁদের থেকে রান আশা করা হয়েছিল, সেই অভিমন্যু ঈশ্বরণ এবং শাহবাজ় আহমেদ হতাশ করেছেন। প্রথম দিনের শেষে বাংলা ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান তুলেছে। রবিবার বেশ কিছুটা রান যোগ করতে না পারলে গুজরাতকে চাপে ফেলা মুশকিল।
টসে জিতে গুজরাত ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাকে। প্রথম ঘণ্টার বোলারদের সুবিধা দিতেই এই সিদ্ধান্ত। তবে সামান্য বাউন্স ছাড়া পিচে আর কিছু ছিল না। বলের চকচকে ভাব নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর কিছু বল নিচু হয়ে যাচ্ছিল। চতুর্থ ওভারেই সুদীপ চট্টোপাধ্যায়কে (৩) হারায় বাংলা। দ্বিতীয় উইকেটে সুদীপ ঘরামির সঙ্গে ৬৭ রানের জুটি গড়েন অভিমন্যু (২০)। বাংলার অধিনায়ক আউট হন চিন্তন গাজার বলে।
মধ্যাহ্নভোজের আগেই অনুষ্টুপ মজুমদারকে হারায় বাংলা। প্রথম ১৩ বলে রান করতে পারেননি। ১৪তম বলে সিদ্ধার্থ দেসাইকে মিড অফে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন অর্জন নাগওয়াসওয়ালার হাতে। ধীরেসুস্থে খেলে অর্ধশতরান করেন সুদীপ ঘরামি (৫১)। তার পর হঠাৎ এগিয়ে খেলতে গিয়ে সিদ্ধার্থের বলে বোল্ড হন।
৯৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলা। অভিষেক পোড়েল এবং সুমন্ত দলের হাল ধরেন। শট খেলতে ভয় পাননি অভিষেক। কিছু ভাল ড্রাইভ দেখা যায় তাঁর ব্যাট থেকে। ৯টি চারের সাহায্যে ৫৩ বলে অর্ধশতরান করেন। সিদ্ধার্থই তুলে নেন তাঁকে। ২১ বলে ২ রান করে আউট হন চোট সারিয়ে ফেরা শাহবাজ়।
সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল যোগ দেন সুমন্তের সঙ্গে। সপ্তম উইকেটে ৪১ রান যোগ করার পর আউট হন সূরজ (২১)। ক্রিজ়ে রয়েছেন সুমন্ত (৫৮) এবং আকাশদীপ (৯)।
এ দিকে, অসমের বিরুদ্ধে সার্ভিসেসের দুই বোলার হ্যাটট্রিক করেছেন। প্রথম হ্যাটট্রিকটি করেন অর্জুন শর্মা। ১২তম ওভারে তিনি আউট করেন অসমের অধিনায়ক রিয়ান পরাগ, সুমিত ঘাড়িগাঁওকর এবং শিবশঙ্কর রায়কে। দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক মোহিত জাংরার। তিনি ১৫তম ওভারের শেষ বলে প্রদ্যুন শইকীয়াকে ফেরান। ১৭তম ওভারের প্রথম দুই বলে মুখতার হুসেন এবং ভার্গব লহকরকে আউট করেন। সার্ভিসেসও প্রথম ইনিংসে ১০৮ রানে অলআউট হয়ে যায়।
আবার ব্যর্থ পৃথ্বী শ। চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে ম্যাচে মহারাষ্ট্রের পৃথ্বী ৯ বলে ৮ রান করেছেন। রান পাননি সরফরাজ় খানও। ছত্তীসগঢ়ের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের সরফরাজ় নেমেছিলেন ছয়ে। তিনি ৬ বলে ১ রান করে আউট হন।