হার্দিক পাণ্ড্য। ছবি: পিটিআই।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপে খেলতে নামার আগেই ধাক্কা খেল ভারত। চোটের কারণে ছিটকে গেলেন হার্দিক পাণ্ড্য। ফাইনালে তিনি খেলতে পারবেন না। প্রথম একাদশে বদল করতে হল অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে। হার্দিকের বদলে দলে এলেন রিঙ্কু সিংহ। আরও দু’টি বদল হয়েছে ভারতের দলে। অর্শদীপ সিংহ এবং হর্ষিত রানা প্রত্যাশামতোই বাদ পড়েছেন। দলে ফিরেছেন জসপ্রীত বুমরাহ এবং শিবম দুবে।
হার্দিকের ছিটকে যাওয়া নিঃসন্দেহে ভারতের কাছে বড় ধাক্কা। ভারতের প্রায় প্রতিটি ম্যাচে শুরুতে বল করেছেন হার্দিকই। সেই দায়িত্ব এ বার পালন করতে হবে অন্য ক্রিকেটারকে। বোলার হার্দিককে হারানোই সবচেয়ে বড় ধাক্কা। কারণ তাঁর বদলে যিনি এসেছেন, সেই রিঙ্কু সাধারণত বল করেন না। ফাইনালের মতো ম্যাচে তাঁকে বল করিয়ে হয়তো ফাটকা খেলতে চাইবে না ভারত।
হার্দিক যে না-ও খেলতে পারেন যা বোঝা যাচ্ছিল আগে থেকেই। রিঙ্কু সিংহ প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে মাঠে ঢোকেন। কিন্তু অন্য দিনের মতো জগিং শু পরে তিনি আসেননি। ম্যাচ খেলার জুতো পরেই মাঠে ঢুকেছিলেন। হাতে ছিল ব্যাট। আগে গিয়ে কিছু ক্ষণ পিচ দেখে থ্রোডাউন নিতে চলে যান। ওয়ার্ম-আপে যা করতে দেখা যায় ক্রিকেটারদের, তা করছিলেন না রিঙ্কু। তখনই বোঝা যাচ্ছিল, হয়তো প্রথম একাদশে নেওয়া হবে তাঁকে।
হার্দিক প্রায় শেষের দিকে মাঠে আসেন। দর্শকেরা তাঁকে দেখে চিৎকার করতে থাকেন। কিন্তু হার্দিক ওয়ার্ম-আপ করেননি। এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। পায়ে বল করার জুতোও ছিল না। অন্য দিকে, গা ঘামানোর জন্য রিঙ্কু ফুটবল খেলতে থাকেন দুই সতীর্থ জিতেশ শর্মা এবং হর্ষিতের সঙ্গে।
হার্দিকের না খেলার ব্যাপারটি চূড়ান্ত হয়ে যায় সূর্যের কথায়। টসে জেতার পর তিনি বলেন, “হার্দিক এই ম্যাচে খেলতে পারছে না। ওর হালকা চোট রয়েছে। অর্শদীপ এবং হর্ষিতের জায়গায় বুমরাহ এবং শিবমকে নেওয়া হয়েছে। হার্দিকের জায়গায় দলে এসেছে রিঙ্কু।”
কেন আগে বল করার সিদ্ধান্ত নিলেন তার পিছনে সূর্যের যুক্তি, “পিচটা দেখে খুবই ভাল লাগছে। আলোর নীচে পিচ আরও ভাল হয়ে যায়। আগে ব্যাট করে আমরা ভালই রান তুলছিলাম। আজ রান তাড়া করতে চাই। টানা ম্যাচ হওয়ার পরেই এই স্টেডিয়ামের মাঠকর্মীরা দারুণ কাজ করেছেন। উইকেট সতেজ রেখেছেন।”