রবিচন্দ্রন অশ্বিন (বাঁ দিকে) ও বরুণ চক্রবর্তী। ছবি: সমাজমাধ্যম।
রহস্য স্পিনার বলা হয় তাঁকে। গত দু’বছর আইপিএলের কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ভাল বল করায় ভারতের টি-টোয়েন্টি ও এক দিনের দলেও সুযোগ পেয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী। চলতি বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও জিতেছেন। কিন্তু ব্যাট হাতে বিশেষ দেখা যায় না তাঁকে। সেই বরুণই ব্যাট হাতে দলকে জিতিয়েছেন। টান টান ম্যাচ জেতার পর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি অধিনায়ক রবিচন্দ্রন অশ্বিন। কেঁদে ফেলেন তিনি।
তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগে দিন্দিগুল ড্র্যাগন্সে খেলেন বরুণ। সেই দলের অধিনায়ক অশ্বিন। সালেম স্পার্টান্সের বিরুদ্ধে ১৮৯ রান তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে ১১ রান দরকার ছিল তাদের। বোলার এম পইয়ামোঝি প্রথম চারটে বল ভাল করেন। মাত্র ৩ রান দেন তিনি। একটা উইকেটও নেন। শেষ দু’বলে দরকার ছিল ৮ রান। ব্যাট করছিলেন বরুণ। পঞ্চম বলটি নো করেন পইয়ামোঝি। ফলে পরের বলটা ছিল ফ্রি হিট।
ফুল লেংথে বল করেন পইয়ামোঝি। অফ স্টাম্পে সরে দিয়ে লং অনের উপর দিয়ে ছক্কা মারেন বরুণ। ডাগ আউটে বসে থাকা সতীর্থেরাও অবাক হয়ে যান। শেষ বলে দরকার ছিল ১ রান। সব ফিল্ডার ৩০ গজ বৃত্তের ভিতরে ছিল। ফলে বুদ্ধি করে মিড অফের উপর দিয়ে তুলে মারেন বরুণ। বল যায় বাউন্ডারিতে। ম্যাচ জেতে দিন্দিগুল।
বরুণের শট বাউন্ডারিতে যেতেই দিন্দিগুলের ক্রিকেটারেরা মাঠে নেমে পড়েন। বরুণকে জড়িয়ে ধরে উল্লাস করতে থাকেন তাঁরা। কিন্তু অশ্বিন ডাগ আউটেই বসেছিলেন। দু’হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলেন। তাঁর চোখ দেখে বোঝা যাচ্ছিল, কেঁদে ফেলেছেন। আবেগ ধরে রাখতে পারেননি অধিনায়ক। পরে মাঠে নেমে বরুণকে জড়িয়ে ধরেন তিনি।
দিন্দিগুলের জয়ের আর এক নায়ক অশ্বিন। বল হাতে চার ওভারে ২২ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। পরে রান তাড়া করতে নেমে ভিতও গড়ে দিয়েছিলেন তিনি। ওপেন করতে নেমে ১৪ বলে ৩৫ রান করেন অশ্বিন। তাঁর ব্যাটে ৩.২ ওভারে বিনা উইকেটে ৫০ রান ওঠে। কিন্তু তার পর উইকেট পড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত আর এক স্পিনারের ব্যাটেই ম্যাচ জেতে তারা।