আম্পায়ারের সঙ্গে আলোচনা ওকসের (ডান দিকে)। ছবি: রয়টার্স।
বুধবার এজবাস্টন টেস্টের প্রথম দিন ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে ভাল বল করেছেন ক্রিস ওকস। ধারাবাহিক ভাবে ভারতীয় ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলেছেন তিনি। দিনের শেষে তাঁর নামের পাশে ৫৯ রানে ২ উইকেট রয়েছে। তবে আম্পায়ারদের নিয়ে খুশি নন ওকস। তাঁর মতে, নিশ্চিত দু’টি উইকেট পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
প্রথমে ওকসের বলে যশস্বী জয়সওয়াল এলবিডব্লিউ হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যান। রিপ্লে-তে দেখা যায়, বল স্টাম্পের উপরের অংশে লাগছে। আম্পায়ার্স কলে বাঁচেন যশস্বী। একই জিনিস দেখা যায় করুণ নায়ারের ক্ষেত্রেও। যশস্বী ৮৭ করে যান। নায়ার করেন ৩১।
ওকস বলেছেন, “সত্যিই প্রচণ্ড হতাশ লেগেছে। দলের জন্য ভাল খেলতে চাইলে আবেগের বহিঃপ্রকাশ হবেই। ওই সিদ্ধান্তগুলো আমাদের পক্ষে গেলে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অন্য রকম হত। অনায়াসে ৩০ রানের মধ্যে ভারতের ৩টে উইকেট ফেলে দিতে পারতাম। তবে এটাই ক্রিকেট খেলা। সব ভুলে এগিয়ে যেতে হবে।” ইংরেজ বোলার মনে করেন, পিচে এখনও যথেষ্ট প্রাণ রয়েছে। ভারতকে দ্রুত অলআউট করে দিতেও পারেন। তাঁর কথায়, “এখনও পিচ যথেষ্ট ভাল। আপনাকে শুধু ঠিক জায়গায় বলটা রাখতে হবে।”
এজবাস্টন ওকসের ঘরের মাঠ। তিনি ওয়ারউইকশায়ার কাউন্টির হয়ে খেলেন। এ দিন ম্যাচের পর প্রয়াত বাবার কথা মনে পড়ায় বেশ আবেগপ্রবণ দেখাল তাঁকে। মে মাসে মারা যান ওকসের বাবা রজার। তাঁর স্মৃতিতে ট্রাইসেপে একটি ট্যাটু করিয়েছেন। দেখা যাচ্ছে, পিছন ফিরে হাঁটছেন রজার। মাথায় টুপি। হাতদুটি পিছনে রেখে হাঁটছেন।
স্টোকস বলেছেন, “ওঁর স্মৃতিতেই ট্যাটুটা করিয়েছি। আমার বাবা বরাবর টুপি পরতেন। আমার খেলা দেখার সময় বাউন্ডারির ধার দিয়ে ও ভাবেই হাত দুটো পিছনে রেখে হেঁটে যেতেন।”