বিরাট কোহলি (বাঁ দিকে) ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। —ফাইল চিত্র।
সম্প্রতি ছত্তীশগঢ়ের এক মুদির দোকানির নামে রজত পাটীদারের সিম নথিভুক্ত হওয়ায় কম শোরগোল হয়নি। বিরাট কোহলি, এবি ডিভিলিয়ার্সদের সঙ্গে কথাও বলে ফেলেন ওই দোকানি। কাকতালীয় ভাবে ওই দোকানির কাছে চলে এসেছিল পাটীদারের ফোন নম্বর। কিন্তু এ বার কোহলির ফোন নম্বর নেওয়ার জন্য রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করলেন এক প্রতারক। যদিও শেষ পর্যন্ত পারেননি তিনি। বুঝে ফেলেন অশ্বিন।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সেই বিষয়ে মুখ খুলেছেন অশ্বিন। তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি হোয়াট্সঅ্যাপে একটা অপরিচিত ফোন নম্বর থেকে মেসেজ পান অশ্বিন। যে ব্যক্তি মেসেজ করেছিলেন তিনি নিজেকে চেন্নাই সুপার কিংসের ক্রিকেটার ডেভন কনওয়ে হিসাবে পরিচিতি দেন। অশ্বিন প্রথমে সেটা বিশ্বাস করেছিলেন। তার পর ওই ব্যক্তি অশ্বিনের কাছে কোহলির ফোন নম্বর চান। তখন সন্দেহ হয় অশ্বিনের।
যাচাই করার জন্য কোহলির একটা বন্ধ হয়ে যাওয়া ফোন নম্বর ওই ব্যক্তিকে পাঠান অশ্বিন। তার পরে তাঁকে প্রশ্ন করেন, যে ব্যাটটা তিনি উপহার দিয়েছিলেন, সেটা কেমন। জবাবে ওই ব্যক্তি বলেন, ব্যাটটা ভাল। তখনই অশ্বিন বুঝে যান ওই ব্যক্তি প্রতারক। কারণ, তিনি কনওয়েকে কোনও ব্যাট দেননি। সঙ্গে সঙ্গে ওই ফোন নম্বর তিনি ব্লক করে দেন। তার পরে চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে যোগাযোগ করে বুঝতে পারেন যে ভুয়ো নম্বর থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল তাঁর সঙ্গে।
ছত্তীশগঢ়ের ঘটনাটা অবশ্য আলাদা। গারিয়াবন্দ জেলার দেবভোগ গ্রামের একটি দোকানের মালিক মণীশ বুঝতেও পারেননি তাঁর জীবনে এমন দিন আসবে। রাতারাতি তিনি খ্যাতনামী হয়ে গিয়েছিলেন। আবার বাস্তবের মাটিতে ফিরেছেন। ঘটনার সূত্রপাত ২৮ জুন। স্থানীয় দোকান থেকে একটা সিমকার্ড কিনেছিলেন মণীশ। মোবাইলে সিম ভরে হোয়াট্সঅ্যাপ ইনস্টল করতেই সেখানে দেখা যায় পাটীদারের ছবি। মণীশ এবং তাঁর বন্ধু খেমরাজ ভেবেছিলেন, বিষয়টা নেহাতই মজার। এর পরেই একের পর এক ফোন আসা শুরু হয়। কেউ নিজেকে বিরাট কোহলি, কেউ এবি ডিভিলিয়ার্স বলে পরিচয় দিতে শুরু করেন।
মণীশ এবং খেমরাজও মজা পেয়ে যান। তাঁরা পাল্টা নিজেদের ‘মহেন্দ্র সিংহ ধোনি’ বলে পরিচয় দিতে শুরু করেন। ১৫ জুলাই অপরিচিত একটা নম্বর থেকে ফোন পান মণীশ। উল্টো প্রান্তে থাকা ব্যক্তি বলেন, “ভাই, আমি রজত পাটীদার। এই নম্বরটা আমার। দয়া করে ফেরত দিন।” তখনও মণীশ মজা করে বলেন, “আমি এমএস ধোনি।” ওই ব্যক্তি বার বার বোঝালেও লাভ হয়নি। শেষে তিনি জানান, পুলিশে অভিযোগ করবেন। দশ মিনিটের মধ্যেই মণীশের বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ। বোঝা যায়, উল্টো প্রান্তে থাকা ব্যক্তি সত্যি করেই পাটীদার ছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে সিম কার্ড ফিরিয়ে দেন মণীশ। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। এ ক্ষেত্রে অবশ্য অশ্বিনকে প্রতারণার চেষ্টা করেছেন এক ব্যক্তি। যদিও বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার।