রোহিত শর্মার অনুশীলন। ছবি: এক্স।
জাতীয় দলের নেতৃত্ব ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে ব্যাটে রান ফেরাতে মরিয়া রোহিত শর্মা। আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরে নিজেকে নতুন করে প্রমাণ করতে প্রস্তুতির খামতি রাখছেন না সদ্যপ্রাক্তন অধিনায়ক। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের এক দিনের সিরিজ়ের প্রস্তুতিতে ডুবে রয়েছেন রোহিত।
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর আন্তর্জাতিক ২০ ওভারের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন রোহিত। গত আইপিএলের মাঝে বিদায় জানিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটকেও। দেশের হয়ে শুধু এক দিনের ক্রিকেট খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২০২৭ সালের বিশ্বকাপ খেলতে চান। নেতৃত্ব হারানোর পর সেই সম্ভাবনাও কমেছে কিছুটা হলেও। দলে জায়গা ধরে রাখতে হলে রান করতেই হবে। ধারাবাহিক ভাবে পারফর্ম করতে হবে। পোড়খাওয়া রোহিতের না বোঝার কথা নয়। তাই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ়ের আগে প্রস্তুতিতে ফাঁক রাখতে চাইছেন না।
মঙ্গলবার বিকালে মুম্বইয়ে একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রোহিত। সে জন্য অনুশীলন বন্ধ রাখেননি। ক্রীড়া ওয়েবসাইট ‘রেভ স্পোর্টস’এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকালে নির্দিষ্ট সূচি অনুযায়ী অনুশীলন করেছেন। নবি মুম্বইয়ের ঘানসোলিতে রিলায়্যান্স কর্পোরেট পার্কে গোপনে তিন ঘণ্টা ব্যাটিং অনুশীলন করেন। রোহিত নিজেই অনুশীলনের সব ব্যবস্থা করেন। তাঁকে বল করেছেন আট থেকে ১০ জন নেট বোলার। রোহিতের অনুশীলনে সঙ্গী ছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ফিজিয়ো অমিত দুবে। অস্ট্রেলিয়ার পিচে বাউন্স বেশি হয়। সেই ধরনের পিচেই অনুশীলন করেছেন রোহিত। বোলারদের খাটো লেংথে বল করার নির্দেশ দেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক।
মঙ্গলবারে অনুষ্ঠানে রোহিত বলেছিলেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে ভালবাসি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলাও উপভোগ করি। অস্ট্রেলিয়ায় খেলা বেশ চ্যালেঞ্জের।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়াও আমাদের বিরুদ্ধে সব সময় চ্যালেঞ্জের সামনে পড়েছে। বেশ কয়েক বার অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে গিয়েছি। কেমন পরিবেশ হতে পারে, তা ধারণা করতে পারছি। জানি ওখানে কী ভাবে খেলতে হয়। আশা করছি, আমরা অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে প্রত্যাশামতো পারফর্ম করতে পারব এবং সিরিজ় জিতে ফিরব।’’
নিজের ব্যাটিং উন্নত করার জন্য ভারতীয় দলের প্রাক্তন সহকারী কোচ অভিষেক নায়ারের কাছে বেশ কিছু দিন অনুশীলন করেছেন রোহিত। ওজনও কমিয়েছেন। ফিটনেসের মান বৃদ্ধি করেছেন। দেশের জার্সি গায়ে রোহিত শেষ খেলেছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। সেই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত।