সরফরাজ় খান। —ফাইল চিত্র।
রবিচন্দ্রন অশ্বিনের নিশানায় অজিত আগরকর। দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে ভারত ‘এ’ দলে জায়গা পাননি সরফরাজ় খান। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভাবে রান করার পরেও ব্রাত্য তিনি। আগরকরের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটির এই সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না অশ্বিন। তাঁর মতে, দেখে মনে হচ্ছে সরফরাজ়ের জন্য জাতীয় দলের জায়গা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অশ্বিনের প্রশ্ন, নির্বাচকদের চোখে পড়ার জন্য আর কী করতে হবে সরফরাজ়কে?
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সরফরাজ়কে নিয়ে আলোচনা করেছেন অশ্বিন। তিনি বলেন, “আমি যখন ভাবলাম, কেন সরফরাজ়কে নেওয়া হল না, আমি কোনও ব্যাখ্যা খুঁজে পেলাম না। ওর জন্য খুব খারাপ লাগছে। আমি যদি নির্বাচক হতাম, তা হলে ওকে ফোন করে কী বলতাম?”
অশ্বিনের মতে, আগরকরদের মনোভাব দেখে মনে হচ্ছে, জাতীয় দলের জন্য সরফরাজ়ের কথা আর ভাবা হচ্ছে না। তিনি বলেন, “ও ওজন কমিয়েছে। রান করেছে। শেষ যে টেস্ট সিরিজ় খেলেছে সেখানেও শতরান করেছে। তার পরেও যখন ওকে নেওয়া হচ্ছে না, তখন মনে হচ্ছে নির্বাচকেরা ভাবছেন, ওকে অনেক সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আর নয়।” অশ্বিন আরও বলেন, “আমি সরফরাজ় হলে এই সব কথাই ভাবতাম। ওকে ভারত ‘এ’ দলেও নেওয়া হল না। দেখে মনে হচ্ছে, ওর জন্য জাতীয় দলের দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।”
ঘরোয়া ক্রিকেটে ৫৬ ম্যাচে ৬৫.১৯ গড়ে রান করেছেন সরফরাজ়। শেষ পাঁচ বছরে তাঁর গড় ১১৭.৪৭। শেষ পাঁচ বছরে ২৪৬৭ রান করেছেন তিনি। মেরেছেন ১০টি শতরান ও পাঁচটি অর্ধশতরান। চোট সারিয়ে ফিরে রঞ্জির শুরুটাও খারাপ করেননি সরফরাজ়। দুই ইনিংসে ৪২ ও ৩২ রান করেছেন তিনি। যাতে ভারতীয় দলে সুযোগ পেতে ফিটনেস সমস্যা না হয় তার জন্য ১৭ কেজি ওজনও কমিয়েছেন। তার পরেও সুযোগ পাচ্ছেন না তিনি।
সরফরাজ়ের এই ধারাবাহিকতার কথা শোনা গিয়েছে অশ্বিনের মুখেও। তিনি বলেন, “ও আর কী করবে? এখন যদি ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রান করে তা হলে নির্বাচকেরা বলবেন, ও শুধু প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার। আর কোথায় গিয়ে ও নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করবে? নির্বাচকদের এই সিদ্ধান্ত দেখে বোঝা যাচ্ছে, ওঁরা আর সরফরাজ়ের কথা ভাবছেনই না।”