(বাঁ দিকে) চেতন শর্মা। সলিল আঙ্কোলা (ডান দিকে)। ছবি: সমাজমাধ্যম।
ক্রিকেট ম্যাচে অনেক সময়ই কিছু কিছু ধারাভাষ্য দর্শকদের মনে থেকে যায়। বুধবার রঞ্জি ট্রফিতে মহারাষ্ট্র বনাম কেরলের ম্যাচ চলাকালীন যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে নিজের কথায় নিজেই বেকায়দায় পড়েছেন এক ধারাভাষ্যকার। নিজেই প্রশ্ন তুলে ঢোঁক গিলতে হয়েছে তাঁকে।
কেরলের পেসারদের দাপটে একসময় মহারাষ্ট্রের স্কোর ছিল ১৮/৫। তখন রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের সঙ্গে ব্যাট করছিলেন জলজ সাক্সেনা। ঘরোয়া ক্রিকেটে দীর্ঘ দিন ধরে ধারাবাহিক ভাবে নিজেকে অলরাউন্ডার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করলেও তাঁকে কখনও জাতীয় দলে নেওয়ার কথা ভাবাও হয়নি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সাত হাজারের উপর রান এবং প্রায় ৫০০-র কাছাকাছি উইকেট রয়েছে। মধ্যপ্রদেশ, কেরল ঘুরে এখন মহারাষ্ট্রের হয়ে খেলছেন। প্রথম ইনিংসে ৪৯ রান করেছেন।
ম্যাচের ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা নির্বাচক সলিল আঙ্কোলা এবং চেতন শর্মা। দু’জনেই একসঙ্গে জাতীয় নির্বাচক কমিটিতে ছিলেন। জলজের পরিসংখ্যান দেখে আঙ্কোলা বলেন, “ভারতের হয়ে এখনও এক বারও খেলেনি জলজ। খুবই অবাক করা ব্যাপার।” পাশে থাকা চেতন বলেন, “তুমি যে খুবই অবাক করা শব্দটা বললে, মনে করিয়ে দিই, আমরা দু’জনেই প্রাক্তন নির্বাচক ছিলাম।” আঙ্কোলা পাল্টা বলে ওঠেন, “তুমি তো চেয়ারম্যান ছিলে।” তখন চেতন বলেন, “নিশ্চয়ই আমাদের দিকে অনেক বার আঙুল তোলা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, ২০২০-২০২৪ পর্যন্ত এক সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের কাজ সামলেছেন চেতন এবং আঙ্কোলা। সেই সময় ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভাবে রান করছিলেন এবং উইকেট নিচ্ছিলেন। অথচ এক বারও তাঁর কথা ভাবা হয়নি। অতীতে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল খেলেও জাতীয় দলে সুযোগ পাননি অমল মুজুমদার, রাজিন্দর গোয়েল, পদ্মাকর শিভালকরের মতো ক্রিকেটারেরা। হয়তো জলজকেও সেই তালিকায় রাখা হবে।
২০০৫-এ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার পর রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে অন্যতম সেরা ক্রিকেটার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন জলজ। রঞ্জিতে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার নজির তাঁরই। গত মরসুমে প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে ৬০০০ রান এবং ৪০০ উইকেট নেওয়ার নজির গড়েন।