Sourav Ganguly

‘সৌরভের শাস্তি কমাতে ফোন করেছিলেন ডালমিয়া’, ম‍্যাচ রেফারি ব্রডের পর ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন প্রাক্তন কোচ গ্রেগও

ভারতীয় ক্রিকেটের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন গ্রেগ চ্যাপেলও। তিনি ভারতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রয়াত জগমোহন ডালমিয়া নাকি তাঁকে ফোন করে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের শাস্তি মকুবের ব্যবস্থা করতে বলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ২০:৩২
Share:

(বাঁ দিক থেকে) সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, জগমোহন ডালমিয়া এবং গ্রেগ চ্যাপেল। —ফাইল চিত্র।

ক্রিস ব্রডের পাশে গ্রেগ চ্যাপেল। সুযোগ পেতেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে জড়িয়ে ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ। ব্রডের মতো তিনিও হাতিয়ার করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রাক্তন সভাপতি জগমোহন ডালমিয়ার একটি অনুরোধকে।

Advertisement

অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদমাধ্যমকে চ্যাপেল বলেছেন, ভারতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই ডালমিয়া তাঁকে ফোন করেছিলেন। অনুরোধ করেছিলেন, সৌরভ যাতে শ্রীলঙ্কা সফরে যেতে পারেন, তার জন্য কিছু একটা করতে। ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ বলেছেন, ‘‘আমার মেয়াদের শুরুতেই সৌরভের শাস্তি (সাসপেনশন) কমাতে চেয়েছিলেন ডালমিয়া। কিছু একটা করার অনুরোধ করেছিলেন। যাতে ও শ্রীলঙ্কায় যেতে পারে। আমি বলেছিলাম, যে পদ্ধতিতে কাজ হয়, সেটাকে নষ্ট করতে চাই না। ওকে এটা মেনে নিতে হবে। আমার সঙ্গে কথা বলার পর ডালমিয়া মেনে নিয়েছিলেন।’’

২০০৫ সালের এপ্রিলে জামশেদপুরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচের পর সৌরভকে মন্থর বোলিংয়ের জন্য জরিমানা করেছিলেন ম্যাচ রেফারি ব্রড। সেই সিরিজ়ে আবার একই অপরাধের জন্য সৌরভকে ছয় ম্যাচের জন্য নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করেছিলেন। সৌরভ শাস্তি কমানোর আবেদন করার পরও চার ম্যাচের জন্য নিলম্বিত করেন ব্রড। সে বছরই সেপ্টেম্বরে আবার মন্থর বোলিংয়ের জন্য শাস্তি পেতে হয়েছিল অধিনায়ক সৌরভকে। দ্বিতীয় বার ম্যাচ রেফারি ছিলেন ক্লাইভ লয়েড। তিনি দু’ম্যাচের জন্য নিলম্বিত করেন সৌরভকে। উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের মে মাসে ভারতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন চ্যাপেল।

Advertisement

এর আগে ব্রড এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “একটা ম্যাচে ভারত তিন-চার ওভার পিছনে চলছিল। মন্থর বোলিংয়ের শাস্তি ওদের পেতে হত। ঠিক তখনই একটা ফোন এল। বলা হল একটু ক্ষমার চোখে দেখতে। শাস্তি দিতে নিষেধ করা হল। কারণ, দলটার নাম ভারত। তাই বাধ্য হয়ে আমাকেও বিষয়টা অন্য ভাবে দেখতে হল।” সেখানেই ঘটনাটি শেষ হয়নি বলে জানিয়েছেন ব্রড। পরের ম্যাচেও একই ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, “পরের ম্যাচেও একই ঘটনা হল। কিন্তু তার পরেও আমাকে বলা হল শাস্তি না দিতে। ওখানে রাজনীতি যুক্ত ছিল। প্রথম থেকেই। হয়তো ভারতীয় বোর্ড শক্তিশালী বলেই ওরা চায়, বাকিরা মাথা নিচু করে কাঠপুতুলের মতো চলবে।”

২১ বছর আইসিসির ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব সামলেছেন ব্রড। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন জোরে বোলার স্টুয়ার্ট ব্রডের বাবা তিনি। তাঁর অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে ক্রিকেট মহলে। অভিযোগের তদন্ত দাবি করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement