Women's ODI World Cup 2025

‘বেড়াটা ভাঙতে চেয়েছিলাম, সবে শুরু, এ বার জেতা অভ্যাসে পরিণত করতে চাই!’ বিশ্বকাপ জিতে বললেন হরমনপ্রীত

ভারতের প্রথম অধিনায়ক হিসাবে মহিলাদের বিশ্বকাপ জিতেছেন হরমনপ্রীত কৌর। এই জেতা এ বার অভ্যাসে পরিণত করতে চান তিনি। সেই প্রতিশ্রুতিই দিলেন ভারত অধিনায়ক।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ০১:২৮
Share:

জয় শাহের (ডান দিকে) হাত থেকে বিশ্বকাপ ট্রফি নিচ্ছেন হরমনপ্রীত কৌর। ছবি: রয়টার্স।

অবশেষে বিশ্বজয় করেছে ভারতের মহিলা দল। ভারতের প্রথম অধিনায়ক হিসাবে মহিলাদের বিশ্বকাপ জিতেছেন হরমনপ্রীত কৌর। এর আগে দু’বার ফাইনালে গিয়ে হারতে হয়েছিল। এ বার সেই বেড়া ভেঙেছেন হরমনপ্রীতেরা। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে অধিনায়কের প্রতিশ্রুতি, এ বার এই জেতা অভ্যাসে পরিণত করতে চান তিনি।

Advertisement

বিশ্বকাপ শেষে হরমনপ্রীত বলেন, “বেড়াটা ভাঙতে চেয়েছিলাম। এই জয় দরকার ছিল। সবে শুরু। এ বার জেতা অভ্যাসে পরিণত করতে চাই। এই মুহূর্তের অপেক্ষা করছিলাম। আমরা আরও উন্নতি করতে চাই। এটাই শেষ নয়। এ তো সবে শুরু।”

ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করতে পারেননি হরমনপ্রীত। প্রতিযোগিতার মাঝে পর পর তিনটি ম্যাচ হেরেছিল ভারত। তার পরেও নিজেদের উপর বিশ্বাস ছিল তাঁদের। হরমনপ্রীত বলেন, “আমরা পর পর তিনটে ম্যাচে হেরেছিলাম। কিন্তু তার পরেও নিজেদের উপর বিশ্বাস ছিল। জানতাম, ঠিক কিছু একটা ভাল হবে। দলের সকলে আত্মবিশ্বাসী ছিল। দিন-রাত খেটেছি। একটা দল হয়ে খেলেছি।”

Advertisement

দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস চলাকালীন ফাটকা খেলেন হরমনপ্রীত। শেফালি বর্মার হাতে বল তুলে দেন তিনি। সেই ফাটকা কাজে লাগে। শেফালি জোড়া উইকেট তুলে দলকে খেলায় ফেরান। হরমনপ্রীত হঠাৎ কেন শেফালির হাতে বল তুলে দিলেন? অধিনায়ক বলেন, “লরা ও সুনে ভাল খেলছিল। হঠাৎ শেফালির দিকে আমার নজর গেল। দেখলাম, ও দাঁড়িয়ে আছে। মনে হল, একটা ফাটকা খেলি। ওকে খালি একটা ওভার দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ভাবিনি ও খেলাটাই বদলে দেবে। এত ভাল বল করছিল যে ওকে আরও কয়েকটা ওভার দিই। যে ভাবে ও বল করেছে, তার পুরো কৃতিত্ব শেফালির।”

এই মাঠেই সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরদ্ধে ৩৩৯ রান তাড়া করেছিল ভারত। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে লক্ষ্য ছিল ২৯৯ রান। তার পরেও আত্মবিশ্বাস ছিল ভারতের। কারণ, এই ম্যাচের পিচ। হরমনপ্রীত বলেন, “এই ম্যাচের পিচ গত ম্যাচের মতো ছিল না। বোলারদের জন্য কিছু ছিল। জানতাম, খেলা যত গড়াবে পিচ কিছুটা মন্থর হবে। স্পিনারেরা সুবিধা পাবে। তাই ৩০০ রান না হলেও চাপ নিইনি। জানতাম, ভাল বল ও ফিল্ডিং করলে এই ম্যাচ জিতব। সেটাই করে দেখিয়েছি।”

ফাইনাল জেতার জন্য দীপ্তি ও শেফালির প্রশংসা শোনা গিয়েছে হরমনপ্রীতের গলায়। পাশাপাশি কোচের দায়িত্ব পাওয়ার পর গত দু’বছরে অমল মুজুমদার যে পরিশ্রম করেছেন তারও প্রশংসা শোনা গিয়েছেন অধিনায়কের গলায়। তাঁদের সব রকমের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকেও ধন্যবাদ দিয়েছেন হরমনপ্রীত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement