অভিষেক শর্মা। —ফাইল চিত্র।
একের পর এক বল গিয়ে পড়ছে গ্যালারিতে। কখনও লং অন, কখনও লং অফ, তো কখনও মিড উইকেট। ছাড় পাচ্ছে না দুবাইয়ের গ্যালারির কোনও অংশ। এশিয়া কাপে তাণ্ডব করছেন অভিষেক শর্মা। বিশেষ করে পাওয়ার প্লে-তে তাঁকে থামাতে পারছে না প্রতিপক্ষ দলগুলি। জয়ের যে ভিত অভিষেক গড়ে দিচ্ছেন, তাতে ভর করে আরাম করে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে ভারত। ছক্কার নিরিখে বাকি সব দলকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন অভিষেক।
চলতি এশিয়া কাপে পাঁচ ম্যাচ মিলিয়ে পাওয়ার প্লে-তে ১২ ছক্কা মেরেছেন অভিষেক। সব মিলিয়ে ১৭ ছক্কা মেরেছেন তিনি। পাশাপাশি ২৩ চারও মেরেছেন ভারতের বাঁহাতি ওপেনার। অভিষেকের পর দ্বিতীয় সর্বাধিক ছক্কা বাংলাদেশের ওপেনার সইফ হাসানের। ১০ ছক্কা মেরেছেন তিনি। ৮ ছক্কা মেরে তিন নম্বরে পাকিস্তানের সাহিবজ়াদা ফারহান।
এশিয়া কাপে পাওয়ার প্লে-তে কোনও ক্রিকেটার তো ছাড়, কোনও দলও অভিষেকের থেকে বেশি ছক্কা মারতে পারেনি। অভিষেকের সমান ছক্কা পাওয়ার প্লে-তে মেরেছে শ্রীলঙ্কা। অর্থাৎ, শ্রীলঙ্কার সকলে মিলিয়ে পাওয়ার প্লে-তে ১২ ছক্কা মেরেছেন।
পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে একাই হারিয়ে দিয়েছেন অভিষেক। দুই দলই পাওয়ার প্লে-তে ৭ করে ছক্কা মেরেছে। আফগানিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও ওমান পাওয়ার প্লে-তে মেরেছে ২টি করে ছক্কা। হংকং মেরেছে ১ ছক্কা। অর্থাৎ, আফগানিস্তান, আমিরশাহি, ওমান ও হংকং পাওয়ার প্লে-তে মোট ৭ ছক্কা মেরেছে। চার দলের মিলিত ছক্কার থেকে বেশি মেরেছেন অভিষেক।
এশিয়া কাপে এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক রানেরও মালিক অভিষেক। পাঁচ ম্যাচে ২৪৮ রান করেছেন তিনি। ৪৯.৬০ গড় ও ২০৬.৬৬ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন তিনি। পাঁচ ম্যাচে দু’টি অর্ধশতরান করেছেন। রানের নিরিখেও দ্বিতীয় স্থানে সইফ। বাংলাদেশের ব্যাটার করেছেন ১৬০ রান। ১৫৬ রান করে তিন নম্বরে পাকিস্তানের ফারহান।