দীপ্তি শর্মা। — ফাইল চিত্র।
প্রতারিত হলেন দুই ক্রিকেটার। বাংলার মহিলা দলে খেলা প্রাক্তন ক্রিকেটার দীপ্তি শর্মা এক সতীর্থের বিরুদ্ধে ২৫ লক্ষ টাকা এবং গয়না চুরির অভিযোগ এনেছেন। অন্য দিকে, কর্ণাটকের এক তরুণ ক্রিকেটার জানিয়েছেন, আইপিএলে চুক্তির লোভ দেখিয়ে ২৪ লক্ষ টাকা তাঁর থেকে নিয়েছেন প্রতারকেরা।
দীপ্তি অভিযোগ করেছেন তাঁরই রাজ্য উত্তরপ্রদেশ এবং মহিলাদের প্রিমিয়ার লিগ দলের সতীর্থ আরুষি গোয়েলের বিরুদ্ধে। আগরায় দীপ্তির ফ্ল্যাটে ঢুকে গয়না, ২ লক্ষ টাকার বিদেশি মুদ্রা এবং দামি জিনিসপত্র আরুষি হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আলাদা করে আরুষিকে ২৫ লক্ষ টাকাও দীপ্তি দিয়েছিলেন। এই অভিযোগ নিয়ে আরুষি কোনও মন্তব্য করেননি।
আগরা সদরের এসিপি সুকন্যা শর্মা বলেছেন, “দীপ্তির ভাই সুমিত শর্মা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রাথমিক ভাবে আমাদের ধারণা, অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩০৫ (এ), ৩৩১ (৩), ৩১৬ (২) এবং ৩৫২ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।”
এফআইআরে লেখা হয়েছে, একই দলে থাকার সুবাদে গত কয়েক বছরে একে অপরের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন দীপ্তি এবং আরুষি। এর পরেই আরুষি এবং তাঁর বাবা-মা পারিবারিক এবং আর্থিক সমস্যার কথা বলে দীপ্তিকে টাকা দেওয়া নিয়ে চাপ দেওয়া শুরু করেন।
গত দু’বছরে ২৫ লক্ষ টাকা দিয়েছেন দীপ্তি। ফেরত চাইলে আরুষি তা দেননি। উল্টে ২২ এপ্রিল আগরায় দীপ্তির ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে ঢুকে গয়না এবং ২৫০০ ডলার (প্রায় ২ লক্ষ টাকা) চুরি করেন। বেরোনোর সময় অন্য একটি তালা লাগিয়ে যান। দীপ্তির ভাই সুমিত পরে সেই ফ্ল্যাটে ঢুকতে গিয়েও পারেননি। তখনই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
ঘটনার কথা জানতে পেরে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন দীপ্তি। সামনেই ইংল্যান্ড সফর রয়েছে। বেঙ্গালুরুতে দীপ্তি জাতীয় দলের শিবিরে রয়েছেন।
এ দিকে, কর্নাটকের রাজ্যস্তরের এক ক্রিকেটার অভিযোগ করেছেন, আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালস দলের চুক্তি পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তাঁর থেকে ধাপে ধাপে ২৪ লক্ষ টাকা নিয়েছেন এক দল প্রতারক।
বেলগাভি জেলার রাকেশ ইয়াদুরে নামে ওই ক্রিকেটার ২০২৪-এর মে মাসে হায়দরাবাদে একটি প্রতিযোগিতা খেলে নির্বাচকদের নজর কেড়েছিলেন। সে বছরই ডিসেম্বরে সমাজমাধ্যমে একটি বার্তা পান রাকেশ। জানানো হয়, তাঁকে রাজস্থান রয়্যালস নির্বাচিত করেছে।
বার্তার প্রেরক তাঁকে একটি ফর্ম ভরে দিতে বলেন। সঙ্গে দু’হাজার টাকা চান। তার পর থেকে নিয়মিত ব্যবধানে ৪০ হাজার থেকে আট লক্ষ পর্যন্ত টাকা চাওয়া হতে থাকে। সে দিন থেকে এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত রাকেশ ২৩.৫৩ লক্ষ টাকা দিয়েছেন।
প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও কিট ব্যাগ, জার্সি, বিমানের টিকিট কিছুই পাননি রাকেশ। এর পরেই বেলগাভি থানায় অভিযোগ করেন রাকেশ। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।