Hanuma Vihari

‘বিদ্রোহী’ সরফরাজ়কে ছাপিয়ে যাচ্ছেন হনুমা, রাজনীতিবিদের ছেলের সঙ্গে ঝামেলা ক্রিকেটারের

হনুমা বিহারীকে নিয়ে বিতর্ক বাড়ছে। সোমবার রঞ্জি থেকে বিদায়ের পরেই অন্ধ্রপ্রদেশের হয়ে আর না খেলার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে আক্রমণ করলেন সতীর্থ কেএন প্রুধবিরাজ। পাল্টা দিলেন বিহারীও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:০৫
Share:

হনুমা বিহারী। ছবি: এক্স।

ভারতের ক্রিকেটার হনুমা বিহারীকে নিয়ে বিতর্ক ক্রমশ বাড়ছে। সোমবার রঞ্জি ট্রফি থেকে বিদায় নেওয়ার পরেই সমাজমাধ্যমে বিবৃতি লিখে অন্ধ্রপ্রদেশের হয়ে আর না খেলার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তার পরেই তাঁকে আক্রমণ করলেন সতীর্থ কেএন প্রুধবিরাজ। জানালেন, সহানুভূতি আদায় করতে নেমেছেন বিহারী। এর পরে অন্ধ্রের ক্রিকেটার পাল্টা একটি চিঠি পোস্ট করে দাবি করেছেন, তাঁকে অধিনায়ক চেয়ে দলের ক্রিকেটারেরা রাজ্য সংস্থাকে চিঠি লিখেছেন।

Advertisement

বিবৃতিতে তিনি লিখেছিলেন, “বাংলার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে অধিনায়ক ছিলাম। সেই ম্যাচে দলের ১৭ নম্বর খেলোয়াড়ের উপর চিৎকার করেছিলাম। ও গিয়ে নিজের বাবাকে (যিনি একজন রাজনীতিবিদ) অভিযোগ করে। ওর বাবা রাজ্য সংস্থাকে নির্দেশ দেন আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। গত বারের ফাইনালিস্ট বাংলার বিরুদ্ধে আমরা ৪১০ তাড়া করে জিতলেও কোনও কারণ ছাড়াই আমাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়।”

এর পরে প্রুধবিরাজ নিজেকে প্রকাশ্যে আনেন এবং লেখেন, “আমিই সেই ছেলে যাকে আপনারা সবাই খুঁজছেন। যা আপনারা শুনেছে তা সম্পূর্ণ অসত্য। কেউই খেলাটার থেকে উঁচুতে নয়। আমার আত্মসম্মানও বাকি সব কিছুর থেকে উপরে। যে কোনও মাধ্যমেই ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং খারাপ ভাষা গ্রহণযোগ্য নয়। সবাই জানে সে দিন কী ঘটেছিল। সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছে। যে ভাবেই হোক না কেন।”

Advertisement

এর পরেই বিহারী একটি চিঠি পোস্ট করেন। সেই চিঠিতে তাঁর ১৫ জন সতীর্থের সই রয়েছে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, বিহারীর বিরুদ্ধে এক সতীর্থকে খারাপ ভাষায় আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু সে দিন কেউ ওই ক্রিকেটারকে খারাপ ভাষায় আক্রমণ করেননি বা গালিগালাজ করেননি। যে ভাষায় কথা বলা হয়েছে তা সাজঘরে প্রায়ই বলা হয়ে থাকে। এতে দলের থেকে সেরাটা বেরিয়ে আসে। অনেক দিন ধরেই তা ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবি।

তাঁরা এ-ও জানিয়েছেন, দলের স্বার্থে বিহারীকেই আগামী দিনে অধিনায়ক হিসাবে চান। তাঁর সঙ্গে দলের কারওরই সম্পর্ক খারাপ নয় বলে দাবি করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, “বিহারী বরাবর আমাদের মধ্যে থেকে সেরাটা বার করে নিয়ে আসে। ওর নেতৃত্বে আমরা এক হয়ে খেলি এবং সে কারণেই সাত বার নকআউটের যোগ্যতা অর্জন করেছি। রঞ্জি মরসুম আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” এই চিঠিটি এখন নাকি আগে লেখা হয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি। চিঠিতে কোনও তারিখের উল্লেখ নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন