আরজে মহওয়াশের (বাঁ দিকে) সঙ্গে যুজবেন্দ্র চহল। —ফাইল চিত্র।
ধীরে ধীরে তাঁদের সম্পর্ক আরও প্রকাশ্যে আনছেন ভারতীয় ক্রিকেটার যুজবেন্দ্র চহল ও বেতার উপস্থাপক আরজে মহওয়াশ। ভারতের যে দল ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছে সেখানে সুযোগ পাননি চহল। কিন্তু লন্ডনেই রয়েছেন তিনি। চর্চিত প্রেমিকা মহওয়াশের সঙ্গে লন্ডনের রাস্তায় দেখা গিয়েছে ভারতীয় স্পিনারকে।
ইনস্টাগ্রামে দু’জনের একটা ভিডিয়ো বেরিয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, লন্ডনের রাস্তায় হাত ধরে হাঁটছেন দু’জনে। কোনও একটা রেস্তরাঁয় ঢুকতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। এই ভিডিয়ো সামনে আসার পর দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে আবার আলোচনা চলছে। নেটাগরিকদের মতে, এ বার নিজেদের সম্পর্ক প্রকাশ্যে নিয়ে আসছেন ভারতীয় ক্রিকেটার। আর কোনও রাখঢাক রাখছেন না তিনি।
প্রাক্তন স্ত্রী ধনশ্রী বর্মার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর প্রথম বার দু’জনকে একসঙ্গে দেখা যায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময়। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখতে দুবাইয়ের স্টেডিয়ামে পাশাপাশি বসেছিলেন তাঁরা। পরে আইপিএল পঞ্জাব কিংসের ম্যাচের সময় অনেক বার স্টেডিয়ামে দেখা গিয়েছে মহওয়াশকে। চহলের জন্য গলা ফাটিয়েছেন তিনি। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে চহলের ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্সের পর হোটেলে তাঁর জন্য গোলাপের তোড়াও পাঠিয়েছিলেন মহওয়াশ।
আইপিএলের লিগ পর্বে পঞ্জাবের শেষ ম্যাচ ছিল জয়পুরে। সেখানেই চহল এবং তাঁর বান্ধবী মহওয়াশকে নৈশভোজে একটা রেস্তরাঁয় দেখা যায়। ‘পিঙ্কভিলা’র তরফে সেই ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়। চহল এবং মহওয়াশের সম্পর্ক নিয়ে চর্চা চললেও তাঁরা এখনও নিজেরা প্রেমের কথা স্বীকার করেননি। যদিও মহওয়াশকে পঞ্জাব কিংসের টিম বাসে উঠতে দেখা গিয়েছে। দলের সঙ্গেই ছিলেন তিনি। চহলের সঙ্গেই বিভিন্ন শহরে ঘুরেছেন মহওয়াশ।
আইপিএলের ফাইনালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে পঞ্জাব হারার পর চহলকে নিয়ে পোস্টও করেছিলেন মহওয়াশ। তিনি লিখেছিলেন, ‘‘পঞ্জাব কিংস শেষ ম্যাচ পর্যন্ত লড়াই করেছে, থেকেছে এবং খেলেছে। বিশেষ করে যুজবেন্দ্র চহল... কারণ মানুষ জানে না দ্বিতীয় ম্যাচের পর ওর পাঁজরের হাড় ভেঙেছে। হাতের আঙুলেও চিড় ধরেছে। এই মানুষটা গোটা সিজ়নে চোট নিয়ে খেলেছে! ওকে ব্যথায় চিৎকার করতে এবং কাঁদতে দেখেছি। কিন্তু কখনও হাল ছাড়েনি! ক্রিকেটের প্রতি ওর আবেগকে স্যালুট।’’
মহওয়াশের সঙ্গে চহলের প্রেমের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে তাঁকে সমাজমাধ্যমে ‘ঘর-ভাঙানি’ তকমা পেতে হয়েছে। এমনকি, চহলের প্রাক্তন স্ত্রী ধনশ্রীও নানা ইঙ্গিত দিয়েছেন। যদিও মহওয়াশ দিনকয়েক আগেই জানান, লোকের কথায় পাত্তা দিতে নারাজ তিনি। সেই ছবিই আর এক বার দেখা গেল লন্ডনের রাস্তায়।