ফটোশপ করা ‘ট্রফি’ হাতে তিলক বর্মা (বাঁ দিকে) এবং সূর্যকুমার যাদব। ছবি: সমাজমাধ্যম।
এশিয়া কাপ ফাইনাল জিতেও ট্রফি নেয়নি ভারত। পাকিস্তানের বোর্ডপ্রধান তথা এশীয় ক্রিকেট সংস্থার চেয়ারম্যানের থেকে ট্রফি নিতে রাজি হননি ভারতের ক্রিকেটারেরা। তবে ভারতের প্রায় সকল ক্রিকেটারকেই ‘ট্রফি’ নিয়ে ছবি পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে। প্রত্যেকেই নিজেদের সমাজমাধ্যম ভরিয়ে দিয়েছেন ‘ট্রফি’জয়ের ছবি দিয়ে।
এই ছবি আসলে ‘ফটোশপ’ ব্যবহার করে বানানো। অভিষেক শর্মা সমাজমাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করেছেন শুভমন গিলের সঙ্গে। দু’জনের ছবির মাঝে রয়েছে একটি ‘ট্রফি’। দেখে স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে সেটি আসল নয়। একই ধরনের ছবি পোস্ট করেছেন হার্দিক পাণ্ড্যও। তিনি মাঠে দাঁড়িয়ে ‘ফটোশপ’ করা ট্রফির সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছেন। তিলক বর্মা এবং সূর্যকুমার যাদবকেও দেখা গিয়েছে ‘ট্রফি’র সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে।
ভারতের জয়ে শামিল হয়েছেন রোহিত শর্মাও। ট্রফি না নিলেও ভারতের ক্রিকেটারেরা মঞ্চের সামনে এসে জয়োল্লাস করেন। অধিনায়ক সূর্যকুমারকে কাল্পনিক একটি ট্রফি হাতে বাকিদের দিকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে ট্রফি নিয়ে ঠিক যে ভাবে সতীর্থদের এগিয়ে এসেছিলেন রোহিত, সেই একই কাজ করতে দেখা যায় সূর্যকেও।
এ দিকে, পাকিস্তানকে কটাক্ষ করেছেন গৌতম গম্ভীর। হ্যারিস রউফের ‘৬-০’ দাবির জবাবে তিনি ছয় শব্দের পোস্ট করেছেন। লিখেছেন, “সব শেষে, যারা দৃঢ়সঙ্কল্প তারাই জেতে।”
ফাইনালের পর সাংবাদিক বৈঠকে এসে সূর্য বলেছিলেন, “চ্যাম্পিয়ন দল ট্রফি পাচ্ছে না, ক্রিকেট খেলা শুরু করার পর থেকে জীবনে এমন ঘটনা আমি দেখিনি। তবে আমার মতে দলের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফেরাই আসল ট্রফি। সকলে বলছেন, ভারত এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন। এটাই আসল কথা।”
জবাবে পাক অধিনায়ক সলমন বলেছিলেন, “ভারত আমাদের সঙ্গে হাত মেলায়নি, মহসিন নকভির থেকে ট্রফি নেয়নি। ওরা আমাদের সঙ্গে যা করেছে, তাতে শুধু আমাদের অসম্মান করেনি, গোটা ক্রিকেটকে অসম্মান করেছে। এগুলো দেখে বাকি দলগুলো যদি এ সব করতে শুরু করে? কোথায় শেষ হবে এ সব? ক্রিকেটারদের তো রোল মডেল হওয়া উচিত। মাঠে এগুলো হতে দেখলে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা কী শিখবে? এ বার যা হয়েছে, খুব খারাপ।’’