বরুণ চক্রবর্তী। — ফাইল চিত্র।
ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার আগে কেকেআরের মেন্টর হিসাবে গৌতম গম্ভীরকে এক বছর দেখেছেন বরুণ চক্রবর্তী। তাতে তাঁর মনে হয়েছে, গম্ভীরের মানসিকতা যোদ্ধাদের মতো। সাজঘরে অন্য পরিবেশ তৈরি হয় গম্ভীর থাকলে। বরুণ এটাও জানিয়েছেন, দুই ব্যক্তির জন্য তিনি আবার জাতীয় দলে ফিরতে পেরেছেন।
‘রেভস্পোর্টজ়’-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে গম্ভীরের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বরুণ। তাঁর কথায়, “মেন্টর হিসাবে গম্ভীরের অবদানের কথা যদি উল্লেখ করেন, আমি বলব উনি সাজঘরে যোদ্ধার মতো মানসিকতা নিয়ে আসেন। এই ধরনের মানসিকতা থাকা খুবই দরকার। কেকেআর এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাফল্য পেতে এই মানসিকতাই সাহায্য করেছে।”
বরুণের সংযোজন, “ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়েও আমরা সেটা দেখতে পেয়েছি। উনি একটা আলাদা শক্তি নিয়ে আসেন সাজঘরে। ওঁর পাশে থাকলে নিজেকে কখনওই দুর্বল লাগে না। হারুণ বা জিতুন, আপনি সব সময় নিজের সর্বস্ব দিতে তৈরি থাকেন।”
২০২১-এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর কোনও দিন যে জাতীয় দলে ফিরতে পারবেন সেটাই ভাবেননি বরুণ। প্রত্যাবর্তনের পিছনে দু’জনের নাম উল্লেখ করেছেন তিনি। কোচ গম্ভীর ছাড়া আর একজন সূর্যকুমার যাদব।
বরুণ বলেছেন, “আমার প্রত্যাবর্তনে সাহায্য করেছে সূর্য এবং গম্ভীর। ওরা আমাকে দলে চেয়েছিল। বাংলাদেশ সফরের আগে সূর্য আমাকে বলেছিল, ‘তোমার দিকে আমার নজর আছে। দেখা যাক সব কোন দিকে এগোয়। তবে আমি তোমাকে দলে চাই’। একই ভাবে গৌতি ভাইও প্রত্যাবর্তনে সাহায্য করেছে। আমাকে সব সময় অনুপ্রাণিত করেছে। সব সময় বলেছে, ‘যে-ই তোমাকে উপেক্ষা করুক না কেন, তুমি আমার পরিকল্পনায় রয়েছ’। এতেই আমার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।”
এশিয়া কাপে ভারতের দলে থাকার কথা বরুণের। তাঁর প্রস্তুতিও ভাল হয়েছে। বলেছেন, “সাদা বলের ক্রিকেটারেরা আইপিএলের পর ভালই বিশ্রাম পেয়েছে। আমি টিএনপিএলে খেলেছি। তা সত্ত্বেও এক মাসের বিশ্রাম পেয়েছি। এ বার নিজের শক্তি, দক্ষতা, ফিটনেস নিয়ে কাজ শুরু করব। নিজেকে বেশ ঝরঝরে লাগছে।”