সঞ্জু স্যামসন। —ফাইল চিত্র।
দু’দলের চাহিদা আলাদা। চেন্নাই সুপার কিংস চাইছে টপ অর্ডারে ব্যাটারের পাশাপাশি মহেন্দ্র সিংহ ধোনির বিকল্প তৈরি রাখতে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রয়োজন অধিনায়ক। তাই দু’দলই মরিয়া সঞ্জু স্যামসনকে কিনতে। পরের মরসুমে আর রাজস্থান রয়্যালসে থাকতে চাইছেন না সঞ্জু। তিনি নামতে পারেন নিলামে। সেখানে সঞ্জুকে নিতে চেন্নাইয়ের সঙ্গে লড়াই হবে কলকাতার। তাতে বাজিমাত করার সম্ভাবনা রয়েছে শাহরুখ খানের দলের।
চেন্নাইয়ের থেকেও কলকাতার সঞ্জুকে বেশি দরকার। তার প্রথম কারণ অধিনায়ক। গত মরসুমে অজিঙ্ক রাহানে অধিনায়ক ছিলেন বটে, কিন্তু বোঝা গিয়েছিল যে তাঁকে বাধ্য হয়ে অধিনায়ক করতে হয়েছে। রাহানেকে শেষবেলার নিলামে কিনেছিল কলকাতা। যদি তাঁকে আগে থেকেই অধিনায়ক তারা ভাবত তা হলে সেটা হত না। তাই আগামী মরসুমে রাহানের অধিনায়ক থাকার সম্ভাবনা প্রায় নেই। এমনকি, তাঁকে ছেড়েও দিতে পারে কেকেআর। সে ক্ষেত্রে অধিনায়কত্ব করার মতো কেউ নেই দলে। আগামী মরসুমের আগে ছোট নিলামে যাঁরা নামবেন, তাঁদের মধ্যে অধিনায়ক হওয়ার মতো বিশেষ কেউ নেই। তাই সঞ্জুর দিকে নজর কলকাতার।
সঞ্জুকে নিতে পারলে ভারতীয় অধিনায়ক পাবে কেকেআর। সঞ্জুর বয়স কম। ফলে দীর্ঘমেয়াদি অধিনায়ক হিসাবে ভাবা হচ্ছে তাঁকে। রাজস্থানের হয়ে চার বছর অধিনায়কত্ব করেছেন সঞ্জু। ২০২২ সালে দলকে ফাইনালেও তুলেছিলেন। ফলে তাঁর অভিজ্ঞতা রয়েছে। তা কাজে লাগাতে চাইছে কেকেআর।
পাশাপাশি সঞ্জুকে পেলে ওপেনারের সমস্যাও মিটবে কলকাতার। সুনীল নারাইনের সঙ্গে নামবেন সঞ্জু। উইকেটরক্ষকের সমস্যাও থাকবে না কলকাতার। কুইন্টন ডি’ককের বয়স হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। তেমন ফর্মেও নেই। তাঁকেও গত নিলামে শেষ দিকে কিনেছিল কেকেআর। ফলে তাঁর বদলে সঞ্জু ভাল বিকল্প।
নিলামে চেন্নাইয়ের সঙ্গে লড়াই করতে হলে পকেটে টাকা লাগবে। সে ক্ষেত্রেও চেন্নাইকে টেক্কা দিতে পারে কলকাতা। কয়েক জন ক্রিকেটারকে ছেড়ে দিলেই অনেক টাকা চলে আসবে কলকাতার হাতে। বেঙ্কটেশ আয়ারকে কিনতে ২৩ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা লেগেছিল কেকেআরের। তাঁকে ছেড়ে দিতে পারে তারা। পাশাপাশি ডি’কক, অনরিখ নোখিয়েকে ছেড়ে দিলে প্রায় ৪০ কোটি টাকা পেয়ে যাবে কেকেআর। সেই টাকা সঞ্জুকে কিনতে কাজে লাগাতে পারবে তারা। এখন দেখার, চেন্নাই ও কলকাতার লড়াইয়ে বাজিমাত করে কোন দল।