Asia Cup 2023

এশিয়া কাপে সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার কাছে হার বাংলাদেশের, পর পর দু’ম্যাচ হেরে সমস্যায় শাকিবেরা

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে ব্যর্থ বাংলাদেশের টপ ও মিডল অর্ডার। একমাত্র লড়াই করলেন তৌহিদ হৃদয়। শেষ পর্যন্ত হেরেই মাঠ ছাড়লেন শাকিব আল হাসানেরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:০১
Share:

শাকিব আল হাসান। —ফাইল চিত্র

লড়লেন তৌহিদ হৃদয়। বাংলাদেশের হয়ে শেষ পর্যন্ত লড়লেন তিনি। হৃদয় মন জিতলেও ম্যাচ জিততে পারলেন না। বাংলাদেশের টপ অর্ডারের ব্যর্থতা ডোবাল তাদের। প্রথমে ব্যাট করে ২৫৭ রান করে ২১ রানে ম্যাচ জিতল শ্রীলঙ্কা। বল হাতে নায়ক দলের অধিনায়ক দাসুন শনাকা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এক ব্যাটার কম খেলানোর খেসারতও দিতে হল বাংলাদেশকে। এই ম্যাচ হেরে যাওয়ায় শাকিব আল হাসানদের এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন বড় ধাক্কা খেল। অন্য দিকে শ্রীলঙ্কার ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন বেঁচে রইল।

Advertisement

কলম্বোর মাঠে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল করেছিলেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার পাথুম নিশঙ্ক ও দিমুথ করুণারত্নে। দ্রুত রান করছিলেন তাঁরা। কিন্তু বেশি ক্ষণ চলেনি জুটি। ১৮ করে আউট হন করুণারত্নে। দ্বিতীয় উইকেটে কুশল মেন্ডিসের সঙ্গে ভাল জুটি গড়েন নিশঙ্ক। মেন্ডিস অর্ধশতরান করলেও নিশঙ্ক ৪০ রানে আউট হয়ে যান।

শ্রীলঙ্কার মিডল অর্ডারের ব্যাটারদের মধ্যে সাদিরা সমরবিক্রম ছাড়া বাকি কেউ রান পাননি। একটা সময় দেখে মনে হচ্ছিল, ২০০ রান করতেও সমস্যা হবে শ্রীলঙ্কার। কিন্তু শেষ দিকে দ্রুত ইনিংস খেললেন সমরবিক্রম। ৭২ বলে ৯৩ রান করেন তিনি। শতরান ফস্কালেও শ্রীলঙ্কার রান সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যান এই ব্যাটার। ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান করে শ্রীলঙ্কা। তার মধ্যে শেষ ১০ ওভারে ওঠে ৮১ রান। শেষে সেটাই পার্থক্য় গড়ে দেয়। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ তিনটি করে ও শরিফুল ইসলাম দু’টি উইকেট নেন।

Advertisement

জবাবে রান তাড়া করতে নেমে সাবধানে খেলা শুরু করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাজ ও মহম্মদ নইম। প্রথম ১০ ওভারে উইকেট না পড়লেও রানের গতি কম ছিল। বাংলাদেশকে প্রথম ধাক্কা দেন শনাকা। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বল করেননি। এই ম্যাচে বল করতে গিয়ে চমক দিলেন শনাকা। দুই ওপেনারকেই আউট করেন তিনি।

বাংলাদেশের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার লিটন দাস ও শাকিব রান করতে পারেননি। শাকিব একই ভাবে আউট হলেন। গ্রুপ পর্বের খেলায় তাঁকে মাথিশা পাথিরানা যে ভাবে আউট করেছিলেন এই ম্যাচেও সেই ভাবে আউট করলেন। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়ায় জুটি হচ্ছিল না। একমাত্র মুশফিকুর রহিম ও হৃদয়ের মধ্যে ৭২ রানের জুটি হয়।

মুশফিকুর ২৯ রানে আউট হওয়ার পরে দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল হৃদয়ের কাঁধে। একাই লড়ছিলেন তিনি। অর্ধশতরান করেন। কিন্তু উল্টো দিকে একের পর এক উইকেট পড়ায় সঙ্গ পাচ্ছিলেন না তিনি। শেষ ১০ ওভারে জিততে দরকার ছিল ৮১ রান। ৪৪তম ওভারে মাহেশ থিকশানার বলে ৮২ রান করে আউট হন হৃদয়। তার সঙ্গেই বাংলাদেশের সব আশা শেষ হয়ে যায়। শেষ জুটি অনেক চেষ্টা করেও দলকে জেতাতে পারেননি। হেরে মাঠ ছাড়তে হয় শাকিবদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন