ICC ODI World Cup 2023

সপ্তম হার বাংলাদেশের, টানা সাত ম্যাচে জিতে ইডেনে সেমিফাইনাল খেলতে আসছে অস্ট্রেলিয়া

বিশ্বকাপে রাউন্ড রবিন পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া। রেকর্ড রান তাড়া করে জিতল তারা। টানা সাত ম্যাচে জিতে ইডেনে সেমিফাইনাল খেলতে আসছে অস্ট্রেলিয়া।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:০৬
Share:

অপরাজিত ১৭৭ করে দলকে জেতালেন মার্শ। ছবি: পিটিআই।

বিশ্বকাপে রাউন্ড রবিন পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া। রেকর্ড রান তাড়া করে জিতল তারা। মিচেল মার্শের মারকুটে ব্যাটিংয়ের কোনও জবাব খুঁজে পেল না বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে ৩০৬ রান তুলেছিল তারা। কিন্তু পুণের পিচে অস্ট্রেলিয়ার খেলতে কোনও সমস্যাই হল না। একার হাতে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিলেন মার্শ। আগের ম্যাচে যদি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল নাটক হন, তা হলে এই ম্যাচে নিঃসন্দেহে তারকার নাম মার্শ।

Advertisement

অস্ট্রেলিয়া টসে জিতে আগে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বাংলাদেশের কোনও ব্যাটার খুব বড় রানের ইনিংস খেলতে না পারলেও প্রায় প্রত্যেকে অবদান রেখেছেন। প্রথম উইকেটে উঠে যায় ৭৬ রান। তানজিদ হাসান এবং লিটন দাস দু’জনেই ৩৬ রান করেন। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত অল্পের জন্যে অর্ধশতরান পাননি (৪৫)। তবে তৃতীয় উইকেটে তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ৬৪ রানে জুটি গড়েন। তৌহিদ (৭৪) একাই অর্ধশতরান করেছেন।

রান তাড়া করতে নেমে তাসকিন আহমেদের বলে শুরুতে ট্রেভিস হেড ফিরে গেলেও অস্ট্রেলিয়াকে এর পর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ডেভিড ওয়ার্নার এবং মিচেল মার্শ দু’জনেই আগ্রাসী খেলা শুরু করেন। মাহেদি হাসানকে টানা তিনটি চার মেরে শুরু করেন মার্শ। ওয়ার্নারও অন্য প্রান্তে চালিয়ে খেলতে থাকেন।

Advertisement

৫৩ রান করে ওয়ার্নার ফেরার পর কিছুটা রানের গতি কমে গিয়েছিল। কিন্তু উল্টো দিকে স্টিভ স্মিথ কোনও বিপদ ঘটতে দেননি। মার্শের রানের গতি কমেনি কখনওই। শুরুটা যে ভাবে করেছিলেন শেষটাও সে ভাবেই করেছেন। ম্যাচের মাঝে একটা সময়ে নাটক হয়। ৩৯তম ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে স্টিভ স্মিথের একটি শট উল্টো দিকের উইকেট ভেঙে দেয়। তত ক্ষণে নন-স্ট্রাইকার মার্শ ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। মুস্তাফিজুর দাবি করেন, বলটি তাঁর পায়ে লেগেছে। তাই মার্শ রান আউট হয়েছেন। মার্শও তর্ক না করে সাজঘরে দিকে ফেরা শুরু করেন।

কিন্তু বাধা দেন স্মিথ। তিনি আম্পায়ারের উদ্দেশে বলতে থাকেন, কোনও ভাবেই বল মুস্তাফিজুরের পায়ে লাগেনি। আম্পায়ারেরা মার্শকে ফিরে যেতে বারণ করেন এবং তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নেন। দেখা যায়, বল সত্যিই মুস্তাফিজুরের পায়ে লাগেনি। তার পরে আর মার্শও থামেননি। সেই ওভারেই শেষ দু’টি বলে মুস্তাফিজুরকে পর পর দু’টি চার মেরে নিজের ১৫০ পূরণ করেন।

পরের ওভারে আবার মুস্তাফিজুরকে চার এবং ছয় মারেন। ৪৫তম ওভারে একই বোলারকে চার মেরে ম্যাচ জিতিয়ে দেন স্মিথ (অপরাজিত ৬৩)।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন