(বাঁ দিকে) হ্যারিস রউফ এবং মাইক হেসন (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
এশিয়া কাপের গ্রুপ এবং সুপার ফোর পর্বে ভারতের কাছে হারতে হলেও চিন্তিত নন পাকিস্তানের কোচ মাইক হেসন। তাঁর দাবি, রবিবার ফাইনালে অন্য খেলা হবে। একই সঙ্গে তিনি মাঠে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের আচরণে বিতর্কের কিছু দেখছেন না। হ্যারিস রউফ, সাহিবজ়াদা ফারহানদের আচরণকে আবেগের বহিঃপ্রকাশ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।
আগের দু’টি ম্যাচেই অভিষেক শর্মার আগ্রাসী ব্যাটিং পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের ছন্দ শুরুতেই নষ্ট করে দিয়েছিল। যদিও হেসনের মতে দ্বিতীয় ম্যাচে অনেক ভাল পারফর্ম করেছেন সলমন আলি আঘারা। দলের পারফরম্যান্সে ক্রমশ উন্নতিতেও খুশি তিনি। হেসন বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয়, ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচের তুলনায় শেষ ম্যাচটা আমরা অনেক ভাল খেলেছি। উন্নতিটা চোখে পড়ার মতোই। প্রথম ম্যাচে আমরা একটু গুটিয়ে ছিলাম। ভারতকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলাম আমরাই। দ্বিতীয় ম্যাচটায় কিন্তু তেমন হয়নি। অনেকটা সময় আমরাই তো ভারতকে চাপে রাখতে পেরেছিলাম। তবু অভিষেকের ব্যতিক্রমী ইনিংসটা ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। আমরা যোগ্য দল হিসাবেই ফাইনালে উঠেছি। এই সুযোগের সবচেয়ে ভাল ব্যবহার করতে হবে আমাদের। চ্যাম্পিয়ন হওয়াই এখন লক্ষ্য।’’
ফাইনালের আগে ক্রিকেটারদের কী বার্তা দিতে চান? হেসন বলেছেন, ‘‘খুব সাধারণ। শুধু ক্রিকেটে মন দিতে হবে। আমরা এখন সেটাই করব। এই ধরনের চাপের ম্যাচে আবেগ থাকে। তবু আমাদের ক্রিকেটের মধ্যে থাকতে হবে। নিঃসন্দেহে ভারত বিশ্বের অন্যতম সেরা দল। ম্যাচের অধিকাংশ সময় ওদের চাপে রাখার জন্য যথেষ্ট ভাল খেলতে হবে। ভারতকে চাপে রাখাই ফাইনালে আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ।’’
সুপার ফোর পর্বে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে একাধিক পাক ক্রিকেটারের আচরণ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে রউফের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) কাছে অভিযোগ জানিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। বিতর্ক এড়িয়ে পাকিস্তানের কোচ বলেছেন, ‘‘প্রচন্ড চাপের ম্যাচগুলিতে খেলোয়াড়দের অঙ্গভঙ্গিগুলো অনেক সময়ই আবেগ নিয়ন্ত্রিত হয়।’’ উল্লেখ্য, দু’জনকেই তাঁদের আচরণের জন্য শাস্তি দিয়েছে আইসিসি।
হেসন মনে করেন, ভারতকে হারানোর ক্ষমতা তাঁর দলের রয়েছে। সলমনেরা যে ভাবে ক্রমশ উন্নতি করছেন, তাতে তিনি খুশি। দল ফাইনালেই সেরা ক্রিকেট উপহার দেবে, আশাবাদী নিউ জ়িল্যান্ডের হেসন।