মারমুখী মেজাজে শ্রেয়স আয়ার। ছবি: রয়টার্স।
দিল্লি ক্যাপিটালস প্লে-অফের লড়াই থেকে বিদায় নিলেও পঞ্জাব কিংসের সামনে সুযোগ রয়েছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে যাওয়ার। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রানে ফিরলেন শ্রেয়স আয়ার। অর্ধশতরান করলেন তিনি। ঝোড়ো ইনিংস খেললেন মার্কাস স্টোইনিস। দু’জনের ব্যাটে দিল্লি ক্যাপিটালসের সামনে ২০৭ রানের লক্ষ্য দিল পঞ্জাব কিংস।
ভারত-পাক সংঘাত শুরু হওয়ার পরে দিল্লি বনাম পঞ্জাবের এই ম্যাচ মাঝপথে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই ম্যাচে দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন পঞ্জাবের দুই ওপেনার। অর্ধশতরান করেছিলেন প্রিয়াংশ আর্য। যেখানে শেষ হয়েছিল সেখান থেকে নয়, সেই ম্যাচ আবার নতুন করে হল। এ বার আর রান পেলেন না প্রিয়াংশ। ৬ রানের মাথায় মুস্তাফিজ়ুর রহমানের বলে আউট হন তিনি। অপর ওপেনার প্রভসিমরন সিংহ করেন ২৮ রান।
পঞ্জাবের ইনিংসকে গতি দেন জশ ইংলিস। তিন নম্বরে নেমে একের পর এক বড় শট মারলেন ইংল্যান্ডের এই ব্যাটার। মাত্র ১২ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেললেন তিনি। তিনটে চার ও দুটো ছক্কা এল তাঁর ব্যাট থেকে। ইংলিশ আউট হলেও রানের সেই গতি বজায় রাখেন অধিনায়ক শ্রেয়স। শেষ কয়েকটা ম্যাচে শুরু করলেও বড় রান করতে পারছিলেন না তিনি। এই ম্যাচে করলেন। ৩৪ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেললেন শ্রেয়স।
পঞ্জাবের রান তোলায় সুবিধা করে দিল দিল্লির ফিল্ডিং। অন্তত তিনটে ক্যাচ পড়ল। কয়েকটা চারও গলল। যদি ফাফ ডু’প্লেসিরা ক্যাচগুলো ধরতে পারতেন তা হলে ছবিটা অন্য রকম হত। অতগুলো ক্যাচ পড়ার পরেও শ্রেয়স বাদে এই ম্যাচে পঞ্জাবের মিডল অর্ডার রান পায়নি। নেহাল ওয়াধেরা, শশাঙ্ক সিংহ তাড়াতাড়ি সাজঘরে ফেরেন।
এ বারের আইপিএলে রিকি পন্টিংয়ের পঞ্জাবের খেলার ধরনটাই আলাদা। উইকেট পড়লেও রান তোলার গতি কমতে দেয় না তারা। যে ব্যাটার নামেন, তিনিই হাত খোলেন। এই ম্যাচেও সেটা দেখা গেল। অনেক দিন পর পঞ্জাবের জার্সিতে খেলতে নামলেন স্টোইনিস। প্রথম বল থেকে বড় শট মারা শুরু করলেন তিনি। অপর প্রান্তে একের পর এক উইকেট পড়লেও স্টোইনিসকে আটকানো যায়নি। ফলে উইকেট নিলেও পঞ্জাবের রান তোলার গতি কমাতে পারেনি দিল্লি।
শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান করল পঞ্জাব। স্টোইনিস ১৬ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকলেন। তিনটে চার ও চারটে বিশাল ছক্কা মারলেন তিনি। দিল্লির বোলারদের মধ্যে নজর কাড়লেন মুস্তাফিজুর। চার ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন বাংলাদেশের পেসার। দুই স্পিনার কুলদীপ যাদব ও বিপরাজ নিগম ২ করে উইকেট নিলেন। তবে এই ম্যাচেও ফর্মে ফিরলেন না মুকেশ কুমার। চার ওভারে ১ উইকেট নিলেও ৪৯ রান দিয়েছেন বাংলার পেসার।