Richa Ghosh

অধরা বিশ্বকাপ জেতাই এখন লক্ষ্য, বলছেন রিচা

মাত্র ২২ বছর বয়সে ডব্লিউপিএল, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ এবং ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জিতেছেন। এ বার তাঁর লক্ষ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়। ২০২০ সাল থেকে তিন বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করলেও এখনও সেই ট্রফি অধরাই রয়ে গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৭:৩৮
Share:

দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: সল্টলেকে প্রস্তুতিতে রিচা। বৃহস্পতিবার। — নিজস্ব চিত্র।

শিলিগুড়িতে পোস্টিং ছিল। কিন্তু কলকাতাতেই পোস্টিং চেয়ে নিয়েছেন ‘ডিএসপি’ রিচা ঘোষ।

পুলিশে যোগ দেওয়ার পরের দিনই অনুশীলনে নেমে পড়লেন বাংলার বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার। বাবাকে পাশে বসিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সল্টলেক ক্যাম্পাসে আসেন বৃহস্পতিবার দুপুরে। নেটে প্রায় এক ঘণ্টা ব্যাটিং করেন। বিশ্বকাপ ফাইনালে যে ভঙ্গিতে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। এ দিন নেটেও একই মেজাজে দেখা যায় তাঁকে। সেই ডাকাবুকো মনোভাব। শটে প্রচণ্ড জোর। রিচা জানালেন বিশ্বকাপ জয়ের পরে এই প্রথম ব্যাট করছেন নেটে। কিন্তু তাঁর ব্যাট করার ভঙ্গি দেখে মনে হল গতকালই বিশ্বকাপ ফাইনালে ছক্কা হাঁকিয়ে ফিরেছেন।

মাত্র ২২ বছর বয়সে ডব্লিউপিএল, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ এবং ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জিতেছেন। এ বার তাঁর লক্ষ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়। ২০২০ সাল থেকে তিন বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করলেও এখনও সেই ট্রফি অধরাই রয়ে গিয়েছে। আগামী বছরেই হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। রিচা বলছিলেন, ‘‘ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জেতার পরে এক মাস যে কী ভাবে কেটে গেল বুঝতে পারিনি। এত ব্যস্ততার মধ্যে কেটেছে যে টেরই পাইনি।’’ যোগ করেন, ‘‘সব চেয়ে বড় স্বপ্ন অধরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা। বাকি সব প্রতিযোগিতায় জিতলেও কুড়ির বিশ্বকাপ জিতিনি।’’

মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মতোই বাইক নিয়ে শহরে ঘুরতে চান রিচা। একটি রয়্যাল এনফিল্ড বাইক কিনেছেন। সেটা চালিয়েই শিলিগুড়িতে ঘুরে বেরিয়েছেন। বলছিলেন, ‘‘শুনেছি মাহি স্যর বাইক চালাতে ভালবাসেন। আমারও ছোটবেলা থেকেই বাইকের শখ। একটি রয়্যাল এনফিল্ড কিনেছি।’’

ছোটবেলা থেকে ক্রিকেটার হওয়ার পাশাপাশি পুলিশ অথবা সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন ছিল রিচার। বুধবার সেই স্বপ্নও পূরণ হয়ে গিয়েছে। রিচা বলছিলেন, ‘‘প্রথম বার পুলিশের পোশাক পরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে গর্ববোধ হচ্ছিল। ভারতীয় জার্সি পরে প্রথম দিন আয়নার সামনে দাঁড়ানোর মতোই অনুভূতি।’’ যোগ করেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে ডিএসপি পদে নিয়োগ করার জন্য।’’

এখন রিচার নামের সামনে বসেছে ‘ডিএসপি’। সেই প্রসঙ্গে বলছিলেন, ‘‘ডিএসপি রিচা বলে ডাকলেই বেশি খুশি হই। অনেক পরিশ্রম করেছি এই দিনটা দেখব বলে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন