Rishabh Pant

সঙ্কটে পন্থের ছোটবেলার ক্লাব, মাঠ খালি করার নির্দেশ, আহত ঋষভের ফোনই ধরছেন না কর্তৃপক্ষ

গত রবিবার পন্থকে ফোন করেন দেবেন্দ্র শর্মা। তিনি সনেট ক্লাবের কোচ। পন্থেরও কোচ। কিন্তু রবিবারের ফোন কোনও শিক্ষক এবং ছাত্রের মধ্যে ছিল না।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২৩ ১৮:৩৪
Share:

বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রয়েছেন ঋষভ পন্থ। —ফাইল চিত্র

যে ক্লাব থেকে ঋষভ পন্থ, আশিস নেহরা, আকাশ চোপড়ার মতো ক্রিকেটার উঠে এসেছেন, সেই ক্লাবই খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ দিল্লির সনেট ক্রিকেট ক্লাবটি শ্রী বেঙ্কটেশওয়ারা কলেজের অধীনে রয়েছে। সেই ক্রিকেট ক্লাবটিই খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলেজ। পন্থকে ফোন করে জানিয়েছেন সেই ক্লাবের কোচ। পন্থ প্রতিবাদ করে টুইটও করেন। কিন্তু এখনও কোনও সুরাহা হয়নি।

Advertisement

গত রবিবার পন্থকে ফোন করেন দেবেন্দ্র শর্মা। তিনি সনেট ক্লাবের কোচ। পন্থেরও কোচ। কিন্তু রবিবারের ফোন কোনও শিক্ষক এবং ছাত্রের মধ্যে ছিল না। বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে থাকা পন্থকে দেবেন্দ্র জানান ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতির কথা। দেবেন্দ্র বলেন, “পন্থকে আমি জানিয়েছি ক্লাবের পরিস্থিতির কথা। সব শুনে ও খুব একটা খুশি নয়। পন্থ চেষ্টা করছে। গাড়ি দুর্ঘটনার আগে পন্থ কলেজের প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথা বলে। সেই সময় থেকেই ক্লাবের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ও।”

সনেট ক্লাব তৈরি হয়েছিল তারক সিনহার হাত ধরে। ২০২১ সালে তাঁর মৃত্যুর পর দায়িত্ব নেন দেবেন্দ্র। তাঁর কাছ থেকে সব কিছু জানার পর পন্থ টুইট করে লেখেন, “আমার ক্লাব একাধিক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার তৈরি করেছে। সেই ক্লাব খালি করে দেওয়ার নোটিস পেয়েছে দেখে খারাপ লাগছে। আমার কেরিয়ার তৈরি করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেয় এই ক্লাব। আমাদের সকলের কাছেই ওই ক্লাব নিজের বাড়ির মতো।”

Advertisement

গত ২০ বছর ধরে সনেট ক্লাবটি কলেজের সঙ্গে রয়েছে। সেই কলেজের দলকে বিনা পারিশ্রমিকে ক্রিকেট শেখানো হয়। সেই কারণে অনেকেই ওই কলেজে ভর্তি হন। এমন অবস্থায় ওই ক্লাব খালি করে দেওয়ার নির্দেশ আসায় অনেক ক্রিকেটারই আশঙ্কায় রয়েছেন। তাঁরা অনুশীলন করার জায়গা হারাবেন। মরসুমের মাঝে এমন সিদ্ধান্ত হওয়ায় চিন্তায় ক্রিকেটাররা।

অসহায় দেবেন্দ্র বলেন, “৩০ এপ্রিল আমাদের শেষ দিন ছিল। কর্তৃপক্ষের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের এখন আর কোথাও যাওয়া নেই। আমি এখনও কারণ জানি না। কেউ আমাকে কারণ জানায়নি। যদি আরও বেশি ভাড়া লাগে, আমরা সেটার আয়োজন করতে পারি। কিন্তু এই জায়গাটা আমাদের কাছে সব কিছু। এই মাঠটা আমরা তৈরি করি, কলেজের ছাত্রদের বিনা পারিশ্রমিকে খেলা শেখাই। আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা অনেকের থেকেই টাকা নেওয়া হয় না। অন্তত ১০০ জন ক্রিকেটার মরসুমের মাঝে নেট পাবে না। ডিডিসিএ টি-টোয়েন্টি লিগ চলছে। চ্যালেঞ্জার ট্রফি শুরু হবে। ছেলেরা কোথায় অনুশীলন করবে?”

সনেট ক্লাবটি দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার অংশ। সেই সংস্থার প্রধান রোহন জেটলি। দেবেন্দ্র তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে চান। কোচের অভিযোগ পন্থ ছাড়া আর কোনও প্রাক্তন ক্রিকেটার তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। পন্থ কলেজের প্রিন্সিপালকে ফোন করেন কিন্তু তিনি ধরেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন