সাই সুদর্শন। —ফাইল চিত্র।
আইপিএলে ১৫টি ম্যাচে ৭৫৯ রান করেছেন সাই সুদর্শন। একটি শতরান এবং ছ’টি অর্ধশতরান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। ডাক পেয়েছেন ভারতীয় টেস্ট দলে। আইপিএল থেকে গুজরাত টাইটান্স ছিটকে যাওয়ার পর সুদর্শনের ভাবনায় এখন শুধু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ টেস্টের সিরিজ়।
দেশের হয়ে তিনটি এক দিনের ম্যাচ এবং একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেও সুদর্শনের টেস্ট অভিষেক হয়নি এখনও। প্রথম একাদশে সুযোগ পেলে ইংল্যান্ডের মাটিতে বেন স্টোকসদের বিরুদ্ধে শুরু করবেন টেস্ট জীবন। টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা না থাকলেও আত্মবিশ্বাসী সুদর্শন। ২০২৩-২৪ মরসুমে সারের হয়ে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ খেলেছেন তিনি। সাদা বলের প্রতিযোগিতা হলেও ইংল্যান্ডের পিচ এবং আবহাওয়ার সঙ্গে পরিচিত ২৩ বছরের ক্রিকেটার। টেস্ট সিরিজ়ে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান। কাউন্টি ক্রিকেট তাঁর ব্যাটিংয়ে উন্নতিতে সহায়ক হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
এ বারের আইপিএলে ব্যাট হাতে নতুন রূপে দেখা গিয়েছে সুদর্শনকে। কমলা টুপি জেতার দৌড়ে রয়েছেন সকলের আগে। ভারতীয় দলে ডাক পাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে নিজের ব্যাটিংয়ে পরিবর্তন করেননি। সুদর্শন বলেছেন, ‘‘দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন সকলের থাকে। আমি দেশের হয়ে খেলতে চাই। তবে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার কথা ভেবে কিছু চেষ্টা করিনি। গোটা মরসুমের কথা ভেবে প্রস্তুতি নিই। সে ভাবে খেলার চেষ্টা করি।’’
আইপিএলে ব্যাট হাতে সাফল্য পেলেও সুদর্শন মনে করছেন, আরও উন্নতি করতে হবে তাঁকে। গুজরাতের ওপেনার বলেছেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি ব্যাটার হিসাবে বেশ কিছু ব্যাপারে আমাকে উন্নতি করতে হবে। পরের ২০ ওভারের ম্যাচ খেলতে নামার আগে আরও পরিশ্রম করতে হবে। ক্রিকেটার হিসাবে এটাই এখন আমার প্রধান লক্ষ্য বলতে পারেন। একই সঙ্গে যে সব সুযোগ আসবে, সেগুলোও কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। দেশের জন্য সব সময় নিজের সেরাটা দেব।’’ ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পাবেন কিনা জানেন না। আগামী বছর ২০ ওভারের বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাবেন কিনা তা-ও জানেন না। এ সব নিয়ে ভেবে নিজেকে চাপেও ফেলতে চান না সুদর্শন।
আইপিএলের এক মরসুমে চার জন ক্রিকেটার সুদর্শনের থেকে বেশি রান করেছেন। ২০১৬ সালে বিরাট কোহলি ৯৭৩ রান করেন। তিনি রয়েছেন তালিকায় শীর্ষে। দ্বিতীয় স্থানে ২০২৩ সালে শুভমন গিলের ৮৯০ রান, তৃতীয় স্থানে ২০২২ সালে জস বাটলারের ৮৬৩ রান এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে ২০১৬ সালে ডেভিড ওয়ার্নারের করা ৮৪৮ রান।