(বাঁ দিক থেকে) ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গ, মহসিন নকভি এবং বাবর আজ়ম। — ফাইল চিত্র।
ইসলামাবাদে বিস্ফোরণের পর পাকিস্তানে আর খেলতে চাননি শ্রীলঙ্কার আট জন ক্রিকেটার। তাঁদের উদ্দেশে ‘হুঁশিয়ারি’ দিল বোর্ড। জানিয়ে দিল, যদি কেউ দেশে ফেরত চলে আসেন তা হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। শ্রীলঙ্কা বোর্ডের নির্দেশিকাকে স্বাগত জানিয়েছেন পাকিস্তান বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা সে দেশের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী মহসিন নকভি।
মঙ্গলবার ইসলামাবাদের আদালতের সামনে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ১২ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ২৭ জন। ইসলামাবাদ থেকে রাওয়ালপিন্ডির দূরত্ব বেশি নয়। সে কারণেই ক্রিকেটারেরা চিন্তায়। বৃহস্পতিবার এক দিনের সিরিজ়ের দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল। তা পিছিয়ে হবে শুক্রবার। তৃতীয় ম্যাচটিও ১৫ নভেম্বরের বদলে ১৬ নভেম্বর করা হবে।
বুধবার শ্রীলঙ্কা বোর্ড একটি নির্দেশিকা জারি করে জানায়, তাদের নির্দেশ উপেক্ষা করে সফরকারী দলের কোনও সদস্য যদি দেশে ফেরেন, তা হলে সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানে বিকল্প ক্রিকেটার পাঠিয়ে দেবে। ক্রিকেটার-সহ সাপোর্ট স্টাফদের কোনও সদস্য শ্রীলঙ্কায় ফিরতে চাইলে তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি ভাবে তদন্ত হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শ্রীলঙ্কার এই নির্দেশিকার পর নকভি সমাজমাধ্যমে লেখেন, “পাকিস্তান সফর চালিয়ে যাওয়ার জন্য শ্রীলঙ্কা দলকে ধন্যবাদ। পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার বাকি দু’টি ম্যাচ হবে ১৪ এবং ১৬ নভেম্বর।” জানা গিয়েছে, শ্রীলঙ্কার হাই কমিশনার ইতিমধ্যেই নকভির সঙ্গে দেখা করেছেন। নিরাপত্তা নিয়ে কথা হয়েছে। তাঁকে কড়া নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তান জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার জন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনি এবং আধা সামরিক বাহিনীকে নিরাপত্তার কাজে লাগানো হয়েছে।
২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কার টিম বাসে হামলা চালিয়েছিল সন্ত্রাসবাদীরা। তার পর দীর্ঘ দিন পাকিস্তানে কোনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়নি। এ বারও ক্রিকেটারদের মধ্যে সেই ভয় রয়েছে।