Virat Kohli

কান এঁটো করা হাসি হেসেছিলেন কোহলি, বিশ্বকাপের ঘোষণা হতেই! কেন

ছন্দে ফেরা কোহলি আগের মতোই আত্মবিশ্বাসী। কোহলি এমনই, নিজে খেলেন। সতীর্থদেরও খেলিয়ে নেন। তাঁর পরামর্শ রানে ফিরিয়েছে রাহুলকে। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক আসলে রানের গন্ধ পান।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২২ ২০:৫৫
Share:

অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে শুনে খুশি হয়েছিলেন কোহলি। ফাইল ছবি।

প্রায় তিন বছর চেনা ছন্দে ছিলেন না বিরাট কোহলি। রান এলেও বড় পাচ্ছিলেন না কিছুতেই। ছন্দে ফিরতে নেতৃত্ব ছেড়ে দেন। ঘাড় থেকে দায়িত্ব নামিয়েও হালকা হতে পারছিলেন না কিছুতেই। তখনই কোহলি পান খুশি খবর। যে খবরে ছিল রানের গন্ধ।

Advertisement

সমালোচনা কম হয়নি। তবু মুখ খোলেননি। নিজের কাজ করে গেছেন। নানা চেষ্টা করেছেন রানে ফেরার। কোহলি আসলে জানতেন রান পাবেনই। অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে জানতে পারে খুশি হন। তাঁর খুশির মাত্রা এতটাই ছিল যে, কান এঁটো করা হাসিও হেসে ফেলেন। সে হাসি অবশ্য দেখাননি কাউকে। বললেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তৃতীয় অর্ধশতরান করার পর।

বুধবার কোহলি বলেছেন, ‘‘কোনও কিছুর সঙ্গে তুলনা করতে চাই না। যেটা অতীতে হয়ে গিয়েছে, সেটা হয়ে গিয়েছে। যখন জানতে পারি এ বারের বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়ায় হবে, তখনই খুব খুশি হয়েছিলাম। চওড়া হাসি হেসেছিলাম। কান এঁটো করা হাসি ছিল সেটা। জানতাম ভাল ক্রিকেট শট খেলাই হবে আসল। অস্ট্রেলিয়ায় খেলার অভিজ্ঞতা আমাদের আগেই ছিল। জানতাম দলেরও সুবিধা হবে।’’ কারণ হিসাবে কোহলি জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার গতিশীল উইকেটেই তিনি ব্যাট করতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন।

Advertisement

ছন্দে ফেরা কোহলি আগের মতোই আত্মবিশ্বাসী। তাঁর চাহনিতেই চুঁইয়ে পড়ছে আত্মবিশ্বাস। প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণকে মাঠের বাইরে ফেলে দিচ্ছেন সুযোগ পেলেই। ভাল বলকে যেমন সম্মান করছেন, তেমনই খারাপ বল পেলে মাঠের বাইরে পাঠাতে দু’বার ভাবছেন না। ফুরফুরে মেজাজে থাকা কোহলি সাহায্য করছেন সতীর্থদেরও। মঙ্গলবারই অনুশীলনের সময় দলের সহ-অধিনায়ককে দেখিয়ে দিয়েছেন কোথায় কোথায় ভুল হচ্ছে তাঁর। ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠৌরকে সরিয়ে লোকেশ রাহুলকে ব্যাটিংয়ের পাঠ দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার উইকেটে কী ভাবে ব্যাট করতে হবে, দেখিয়ে দিয়েছেন হাতে কলমে। তাঁর পরামর্শ পাওয়ার পর বাংলাদেশের বিরুদ্ধেই আগ্রাসী মেজাজে অর্ধশতরান করেছেন রাহুল।

কোহলি আসলে এমনই, নিজে খেলেন। সতীর্থদেরও খেলিয়ে নেন। নিজে ছন্দ হারালে উদ্বিগ্ন হন না। অন্য কেউ ছন্দ হারালে উদ্বিগ্ন হন। যেমন আইপিএলের সময়ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের ভেঙ্কটেশ আয়ারকে দিয়েছিলেন রান পাওয়ার মন্ত্র। কোহলির আত্মবিশ্বাস এমনই। জানেন কী করে রান পেতে হয়। কী করে রান পাওয়াতে হয়। সেই মন্ত্রেই সম্ভবত বিশ্বকাপের ২২ গজে চেনা মেজাজে নিজেকে মেলে ধরছেন কোহলি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement