রোহিত শর্মা (বাঁ দিকে) এবং বিরাট কোহলি। — ফাইল চিত্র।
বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার বিরুদ্ধে খেলতে মুখিয়ে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ক্রিকেটারের জন্য প্রস্তুতিও সারা আছে তাদের। ম্যাচের এক দিন আগে এ কথা জানিয়ে দিলেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স জানিয়েছেন, তাঁদের দলেও একজন রয়েছেন যিনি রোহিত, কোহলি দু’জনেরই অনুভূতি দিতে পারেন।
ম্যাচের আগে ‘স্টার স্পোর্টস’-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাভুমা বলেছেন, “স্থানীয় মানুষদের কাছে একটা উত্তেজক ম্যাচ হতে চলেছে। দুই জীবন্ত কিংবদন্তিকে অনেক দিন পর চোখের সামনে খেলতে দেখার সুযোগ পাবে ওরা। দু’জনে দলে থাকতে ভারতের মধ্যে একটা আলাদা স্ফূর্তি তৈরি হয়। আমরাও সেটার মোকাবিলা করতে মুখিয়ে আছি।”
অস্ট্রেলিয়া সফরের পর আবার জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নামছেন রোহিত এবং কোহলি। এ বার ভারতের মাটিতে। দু’জনের জন্য প্রস্তুতি রাখবে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাভুমা বলেছেন, “ভারতের বাকি যে কোনও ক্রিকেটারের মতোই আমরাও ওদের নিয়ে নির্দিষ্ট ভাবে প্রস্তুতি রাখব। যে যে কৌশল দরকারি মনে হয় সেগুলোর প্রয়োগ করব। আমরা জানি কাজটা বেশ কঠিন হতে চলেছে। তবে একই সঙ্গে একটা উত্তেজক ম্যাচও হবে।”
টেস্ট সিরিজ়ে ভারতকে চুনকাম করার পর এ বার এক দিনের সিরিজ়ে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা। সে প্রসঙ্গে বাভুমা বলেছেন, “অধিনায়কের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলতে পারি, আলাদা করে কোনও পরিবর্তন করতে হয়নি। ব্যাট হাতে নেতৃত্ব দিতে চাই। মাঠে নামলে বাকিদের বিভিন্ন বুদ্ধি দিতে চাই। সব সময়ে ব্যাপারটা এ রকমই থাকে।”
অবসর ভেঙে এক দিনের ক্রিকেটে ফিরেছেন কুইন্টন ডি’কক। পাকিস্তানে গিয়ে শতরানও করেছেন। তাঁকেই দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ‘রো-কো’ বলে মনে করেন প্রিন্স। তিনি বলেছেন, “ওর উপস্থিতির অর্থ সাংঘাতিক। যে ভাবে রোহিত এবং বিরাট ভারতকে শক্তিশালী করে তোলে, দক্ষিণ আফ্রিকা দলে তেমনই প্রভাব কুইনির। ওর অভিজ্ঞতা এবং পাকিস্তান যে মানের ক্রিকেট খেলেছে, তাতে সাজঘর আরও উদ্বুদ্ধ হয়েছে। আমাদের দলে কয়েকজন তরুণ বাঁ হাতি ক্রিকেটার রয়েছে। কুইনির সঙ্গে একসঙ্গে বসা, কথা বলা এবং ওর সঙ্গে ব্যাট করতে নামা ওই তরুণদের উন্নতির জন্য খুব প্রয়োজনীয়। আমাদের দলে কুইনির প্রভাব মারাত্মক।”