(বাঁ দিক থেকে) জিতেশ শর্মা, অর্শদীপ সিংহ এবং হর্ষিত রানা। ছবি: সমাজমাধ্যম।
এশিয়া কাপ ফাইনালকে ভারত যেন বেছে নিয়েছে জবাব দেওয়ার মঞ্চ হিসাবে। পাকিস্তানের ইনিংস চলাকালীন হ্যারিস রউফকে পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ। আবরার আহমেদকেও ছাড়ল না ভারত। ম্যাচের পর আবরারের উচ্ছ্বাস প্রকাশের ধরনকে নকল করলেন ভারতের তিন ক্রিকেটার।
ম্যাচের পর মাঠেই উৎসবে মেতে ওঠেন ভারতের ক্রিকেটারেরা। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে উৎসব করতে থাকেন। তখনই দেখা যায়, এক ধারে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে রয়েছেন জিতেশ শর্মা, অর্শদীপ সিংহ এবং হর্ষিত রানা। আবরারের ভঙ্গি নকল করে মাথা নাড়াতে দেখা যায় তাঁদের।
কোনও ব্যাটারকে আউট করলে দাঁড়িয়ে পড়ে ঘাড় নাড়িয়ে বিশেষ ধরনের উৎসব করেন আবরার। ঘাড়টা এমন ভাবে নাড়ান, মনে হয় ব্যাটারকে বলছেন, ‘যাও, সাজঘরে ফিরে যাও’। গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচেও এই কাজ করেছিলেন তিনি।
এমনকি, এ বারের এশিয়া কাপেও বিতর্কে জড়িয়েছেন আবরার। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সুপার ফোরের ম্যাচে ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গকে আউট করে শ্রীলঙ্কার বোলারের কায়দা নকল করে উৎসব করেছিলেন। জবাব দেন হাসরঙ্গও। তিনিও পাকিস্তানের এক ব্যাটারকে আউট আবরারের উৎসবের ভঙ্গি নকল করেন।
তার আগেই ম্যাচে বুমরাহ জবাব দিয়েছিলেন রউফকে। তখন পাকিস্তানের ইনিংসের ১৮তম ওভার চলছিল। দ্বিতীয় বলে বুমরাহকে চার মেরেছিলেন রউফ। তৃতীয় বলে ছয় মারতে গিয়েও ব্যর্থ হন। চতুর্থ বলে ইয়র্কার দিয়েছিলেন বুমরাহ। কোনও মতে ব্যাটে বল লাগান রউফ। পঞ্চম বলে আবার ইয়র্কার দেন বুমরাহ। এ বার চালিয়ে খেলতে গিয়ে অফস্টাম্প উড়ে যায় পাকিস্তানের ব্যাটারের।
এর পর হাসিমুখে ডান হাত দিয়ে ‘প্লেন ক্র্যাশ সেলিব্রেশন’ করেন বুমরাহ। তাঁর উচ্ছ্বাস দেখে মনে হয়েছে, বিমান মাটি থেকে উড়েই সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংস হয়ে মাটিতে পড়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ রউফকে আউট করে তাঁর কায়দাতেই উচ্ছ্বাস করেন বুমরাহ। এখন দেখার, পাকিস্তান ভবিষ্যতে বুমরাহের এই আচরণ নিয়ে প্রতিবাদ করে কি না।