Vaibhav Suryavanshi

‘২০০ করলেও বাবা খুশি হবে না’, বলল বৈভব, রবিবার পাকিস্তান ম্যাচে ১৪ বছরের ব্যাটারই ভরসা ভারতের

যুব এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচেই আমিরশাহির বিরুদ্ধে আগ্রাসী ইনিংস খেলেছে বৈভব সূর্যবংশী। ৪২ বলে ১৪৪ রান করেছে সে। রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ। সেই ম্যাচেও ভারতের প্রধান অস্ত্র ১৪ বছরের ব্যাটারই।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ২৩:০১
Share:

বৈভব সূর্যবংশী। ছবি: সমাজমাধ্যম।

যুব এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচেই আমিরশাহির বিরুদ্ধে আগ্রাসী ইনিংস খেলেছে বৈভব সূর্যবংশী। ৪২ বলে ১৪৪ রান করেছে সে। রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে। সেই ম্যাচেও ভারতের প্রধান অস্ত্র ১৪ বছরের ব্যাটারই। তবে আমিরশাহি ম্যাচের পর বৈভবের গলায় কিছুটা অনুযোগের সুর। সে জানিয়েছে, ২০০ করলেও হয়তো তাঁর বাবা খুশি হবেন না।

Advertisement

শনিবার ভারতীয় বোর্ড একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছে। সেখানে বৈভবকে দেখা গিয়েছে বাবার সঙ্গে কথা ফোনে বলতে। ইনিংসের জন্য ছেলের প্রশংসা করেছেন বৈভবের বাবা।

ফোনের শুরুতেই বৈভব জানতে চেয়েছে, বাবা খেলা দেখেছেন কি না। বৈভবের বাবা বলেন, “শুরু থেকে দেখেছি। তুমি যদি ওই শটটা (বৈভবের আউট হওয়ার শট) কভারের উপর দিয়ে আরও একটু উঁচু করে মারতে পারতে তা হলে ছয় হত।” হাসতে হাসতে বৈভব বলেন, “ঠিক করে শটটা খেলতে পারিনি। বলটা ধীর গতিতে এসেছিল।” বৈভবের বাবা বলেন, “ঠিক আছে। ভাল খেলেছ।”

Advertisement

এর পরেই বৈভব বলে, “বাবাকে সহজে খুশি করা যাবে না। যদি আমি ২০০ করতাম তা হলেও বাবা বলত যে আরও বেশি রান করা উচিত ছিল। কিন্তু মা সব সময়ে খুশি হয়। আমি শূন্য করি বা শতরান করি, মা আনন্দ পায় এবং আরও ভাল খেলতে বলে।”

আমিরশাহির বিরুদ্ধে যে আলাদা কোনও কৌশল নিয়ে নামেনি সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে বৈভব। বলেছে, “আমি আলাদা কিছু করতে চাই না। নিজের খেলায় বিশ্বাস রাখি এবং কঠোর পরিশ্রম করি। খুব বেশি আলাদা কিছু করতে চাই দলেরও লাভ হবে না, আমারও হবে না। যদি আর একটু বেশি ব্যাট করতে পারতাম এবং ২০-৩০ রান বেশি করতাম, তা হলে কোনও একটা নজির হত।”

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পঞ্চম দ্রুততম শতরান করেছে বৈভব। শুক্রবার সে ৩২ বলে শতরান করেছে, যা ভারতীয়দের মধ্যে যুগ্ম ভাবে দ্বিতীয় স্থানে। বৈভব বলেছে, “যে কোনও প্রতিযোগিতার শুরুতে রান করতে পারলে ভাল লাগে। আজও আমি নিজের ১০০ শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কোন দলের বিরুদ্ধে খেলছি সেটা দেখি না। সব সময়ে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। আজ সেটা পেরেছি। ফলাফলও দেখতে পাচ্ছে সকলে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement