বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম এক দিনের ম্যাচে হারানোর পর শুকরি কনরাডের দিকে ফিরেও তাকাননি বিরাট কোহলি। প্রোটিয়া কোচ গুয়াহাটিতে দ্বিতীয় টেস্টের সময় ভারতীয় দল সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন। সম্ভবত সে কারণেই কনরাডকে এড়িয়ে যান কোহলি।
রাঁচীতে ম্যাচ শেষ হওয়ার পর সাজঘরে ফেরার সময় দু’দলের সদস্যেরা সৌজন্য বিনিময় করেন রীতি অনুযায়ী। ভারতীয় ক্রিকেটারেরা সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় দক্ষিণ আফ্রিকার কোচিং স্টাফ-সহ অন্যদের সঙ্গেও করমর্দন করেন। সে সময় কনরাডকে এড়িয়ে যান কোহলি। অন্যদের সঙ্গে কোহলি হাসিমুখে সৌজন্য বিনিময় করলেও কনকাডের সামনে গিয়ে তাঁর দিকে তাকাননি। দক্ষিণ আফ্রিকার কোচকে এড়িয়ে যান। তাঁর পরের জনের সঙ্গে স্বাভাবিক রসিকতা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কোহলির অভিব্যক্তি দেখে কনরাডও তাঁর দিকে হাত বাড়াননি। সেই সময়ের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। উল্লেখ্য, শতরানের পর সাজঘরে ফিরে ভারতীয় দলের কোচ গৌতম গম্ভীরকেও এড়িয়ে গিয়েছিলেন কোহলি।
মনে করা হচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকার কোচের অবমাননাকর মন্তব্যে ক্ষুব্ধ কোহলি এ ভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গুয়াহাটি টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষে ৫২১ রানে এগিয়ে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সে দিন খেলার শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন কনরাড। তখনই বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘আমরা ওদের (ভারতীয় দল) পায়ের তলায় রাখতে চেয়েছিলাম।’’ ইংরেজিতে ‘গ্রোভেল’ শব্দ ব্যবহার করেন। শব্দটি বর্ণবিদ্বেষমূলক হিসাবে ব্যবহৃত। কনরাডের ওই মন্তব্য তীব্র সমালোচনা করেছিলেন সুনীল গাওস্কর, ডেল স্টেনের মতো প্রাক্তনেরা। যদিও ভারতীয় দল সরকারি ভাবে প্রকাশ্যে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
রাঁচীতে ১২০ বলে ১৩৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন কোহলি। এক দিনের ক্রিকেটে ৫২তম শতরান করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের যথেষ্ট শাসন করেন। কোহলির ওই ইনিংসের সুবাদে প্রথম এক দিনের ম্যাচ ১৭ রানে জিতেছিল ভারত।