ছবি: সংগৃহীত।
চার বছর আগে এই এজবাস্টনেই ঘটেছিল সেই ঘটনা। ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে জো রুটের সঙ্গে ঘুসোঘুসিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। যার পরে তাঁর জরিমানা এবং শাস্তি হয়।
চার বছর পরে আবার সেই এজবাস্টন। এ বারও মুখোমুখি ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া। হেরে গেলে এ বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় হয়ে যাবে স্টিভ স্মিথের দলের। আর দু’দলের এই লড়াইয়ের ভাগ্য ঠিক করে দিতে পারে যে দুই ব্যাটসম্যান, তাঁদের নাম— জো রুট এবং ডেভিড ওয়ার্নার।
অস্তিত্বরক্ষার লড়াইয়ে নামার আগে ফিরে আসছে সেই মারামারির ঘটনা। এবং ওয়ার্নার বলে দিচ্ছেন, ওই ঘটনা তাঁকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। ‘‘সে সময় আমার বয়স অল্প ছিল। এখন আমি অনেক পরিণত। বয়স বেড়েছে, বিয়ে করেছি, দু’টো বাচ্চা আছে। জীবন থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। ওই ঘটনা আমাকে বদলে দিয়েছে। শুধু ক্রিকেটার হিসেবেই নয়, মানুষ হিসেবেও।’’অতীতের সেই ঘটনা নিয়ে ওয়ার্নারের বক্তব্য, ‘‘সবার জীবনেই এ ধরনের সমস্যা আছে। কিন্তু সেখান থেকেই শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমি হয়তো সে সময় অত বুঝতাম না। কিন্তু এখন আমি মাঠ এবং মাঠের বাইরে— দু’টো জীবনেই ভারসাম্য বজায় রাখি।’’
শনিবারই মাঠে দেখা হবে দু’জনের। আপনার প্রতিক্রিয়া কী হবে? জবাবে ওয়ার্নার বলেছেন, ‘‘আমার সঙ্গে দেখা হলে অবশ্যই হাত মেলাব।’’ একই সঙ্গে জানিয়ে দিচ্ছেন, বার্মিংহামের সেই ‘ওয়াকাবাউট বার’-এ আবার তিনি যাবেন, যদি ওখানে ঠান্ডা পানীয় পাওয়া যায়। ‘‘গোটা কয়েক ডায়েট কোক যদি পাওয়া যায়, তা হলে আমার যেতে কোনও আপত্তি নেই,’’ বলেছেন ওয়ার্নার।