কোহালির অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দেবেন রাহানে।
ঐতিহ্য, প্রভাব, ভারসাম্য। আপাতভাবে কোনও তুলনাই চলে না। একটা দল প্রথম টেস্টে নামছে। আর একটা দল এই মুহূর্তে টেস্টে বিশ্বের এক নম্বর। ভারতের সঙ্গে তাই তুলনাই চলে না আফগানিস্তানের। আসগর স্ট্যানিকজাইয়ের দলের এখানেই কৃতিত্ব যে এর পরেও আফগানদের হালকা ভাবে নিতে পারছে না অজিঙ্ক রাহানের ভারত। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল, বিশ্বকাপের ভরা বাজারেও বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইশ গজে লক্ষ্য রাখতে হচ্ছে ক্রীড়ামহলকে।
আফগানিস্তানের কাছে ভারত মোটেই বিদেশ নয়। নয়াদিল্লির কাছে গ্রেটার নয়ডায় অনুশীলন করে তারা। দেহরাদূনে টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। তার ওপর দলে সাড়া ফেলে দেওয়া রশিদ খান থেকে শুরু করে রহস্যময় স্পিনার মুজিব-উর-রহমানরা রয়েছেন। রয়েছেন অফস্পিনার মহম্মদ নবিও। ফলে স্পিন অস্ত্রেই ভারতের মহড়া নিতে চাইবে তারা। তবে পাঁচ দিনের ফরম্যাটে রশিদদের কাজটা সহজ হবে না।
তবে বিরাট কোহালি না থাকলেও রাহানের দলের ব্যাটিং গভীরতা যথেষ্ট। লোকেশ রাহুল, মুরলী বিজয়, শিখর ধবনের মধ্যে কোনও দু’জনকে দেখা যাবে ওপেনিংয়ে। বুধবার অবশ্য অনুশীলনে ধবনকে ফিটনেস টেস্ট দিতে দেখা গেল। চেতেশ্বর পূজারা, রাহানে স্বয়ং, করুণ নায়ার, দীনেশ কার্তিকরা থাকছেন মিডল অর্ডারে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা আবার অলরাউন্ডার। হার্দিক পান্ড্যর মতো পেসার-অলরাউন্ডারও রয়েছেন।
আরও পড়ুন
আফগানি স্পিন-হুঙ্কার ওড়ালেন কার্তিক
উমেশ যাদব ও ইশান্ত শর্মা রয়েছেন নতুন বলের দায়িত্বে। আছেন হার্দিকও। দুই স্পিনার অশ্বিন-জাদেজা। ওয়ান ডে এবং টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে দু’জনেই জাতীয় দলের বাইরে। তাই বাড়তি তাগিদ থাকার কথা উভয়েরই। এর মধ্যেও চায়নাম্যান কুলদীপ যাদবকে ভারত প্রথম দলে আনতে পারবে কি না, তা নিয়ে চলছে চর্চা।
বেঙ্গালুরুর আকাশে অবশ্য মেঘ রয়েছে। কিছু জায়গায় বৃষ্টিও হয়েছে। উইকেটে সবুজের হালকা আভা। যাতে সিমারদের সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই উইকেটে আফগানদের সমস্যা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। অবশ্য এ সব ছাপিয়ে যাচ্ছে রশিদদের স্বপ্নের সফর।
যুদ্ধবিধ্বস্ত একটা দেশ হাজারো প্রতিকূলতা জয় করে পা রাখতে চলেছে টেস্টের আসরে। রূপকথা ছাড়া আর কী-ই বা বলা যেতে পারে একে!