দিল্লির নজরে পেসার, পাওয়ারহিটার, বলছেন কাইফ

নিলামের আগের সন্ধ্যায় দিল্লি ক্যাপিটালসের ফিল্ডিং কোচ কাইফ বলছিলেন, ‘‘ড্রেসিংরুমে দাদার অনুপস্থিতি অনুভব করব। প্রত্যেক দিন প্র্যাক্টিসের শেষে দলের প্রত্যেককে নিয়ে বৈঠকে বসত দাদা। সেটা খুব মিস করব।’’

Advertisement

ইন্দ্রজিৎ সেনগুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:২৬
Share:

মহম্মদ কাইফ। 

ব্যাটিং উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পরে দিল্লি ক্যাপিটালসের মনোভাবই বদলে দিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রথম বার তৃতীয় স্থানে শেষ করেছিল দিল্লির ফ্র্যাঞ্চাইজি। কিন্তু ভারতীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ায় এ বার আইপিএল-এর কোনও দলের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না সৌরভ। প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের অভাব যে অনেকটাই পার্থক্য গড়তে পারে, তা জানিয়ে দিলেন তাঁর প্রাক্তন সতীর্থ মহম্মদ কাইফ।

Advertisement

নিলামের আগের সন্ধ্যায় দিল্লি ক্যাপিটালসের ফিল্ডিং কোচ কাইফ বলছিলেন, ‘‘ড্রেসিংরুমে দাদার অনুপস্থিতি অনুভব করব। প্রত্যেক দিন প্র্যাক্টিসের শেষে দলের প্রত্যেককে নিয়ে বৈঠকে বসত দাদা। সেটা খুব মিস করব।’’ যোগ করেন, ‘‘যে দায়িত্বে দাদা আছে, তা ভারতীয় ক্রিকেটকে উন্নতির পথে নিয়ে যাবে। দাদাকে পাওয়া না গেলেও আমরা খুশি, ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নতির কথা ভেবে।’’

দিল্লির গত বারের দল থেকে বেশ কয়েকজনকে ছাড়া হলেও যে ১২জনকে রাখা হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই অভিজ্ঞ। তাঁরাই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রথম একাদশে খেলেছেন। উপরের দিকের ব্যাটসম্যান কেনার চিন্তা নেই দিল্লির। শিখর ধওয়ন, পৃথ্বী শ, ঋষভ পন্থ, শ্রেয়স আইয়ারদের রেখে দেওয়া হয়েছে। রাজস্থান রয়্যালস থেকে এসেছেন অজিঙ্ক রাহানেও। সন্দীপ লামিছানে, অক্ষর পটেলের মতো স্পিনারও রয়েছন। কিংস ইলেভেন পঞ্জাব থেকে নেওয়া হয়েছে আর অশ্বিনকে। কিন্তু ক্রিস মরসিকে ছেড়ে দেওয়ায় তাদের দলে পাওয়ারহিটারের জায়গা ফাঁকা। কাগিসো রাবাডা ও ইশান্ত শর্মাকে সঙ্গ দেওয়ার মতো পেসারও নেই দিল্লির দলে। এই দু’টি জায়গাতেই উন্নতি করতে চাইবে দিল্লি।

Advertisement

আরও পড়ুন: কেকেআরের উচিত হেলসকে নেওয়া, পরামর্শ জোন্সের

কাদের লক্ষ্য করে এগোচ্ছেন কাইফরা? তিনি বলছিলেন, ‘‘গত বার নিলাম থেকে খুব ভাল ক্রিকেটার কেনা হয়েছে। চমক হয়েছিল ইশান্ত শর্মাকে কেনার সিদ্ধান্ত। এ বার ব্যাটিং নিয়ে সে রকম চিন্তা নেই। বিশেষ করে টপ-অর্ডার। শিখর ধওয়ন, পৃথ্বী শ রয়েছে। তার সঙ্গেই নেওয়া হয়েছে অজিঙ্ক রাহানেকে। কিন্তু একজন ফিনিশার নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।’’

তা হলে পাওয়ারহিটারে জোর দিচ্ছে দিল্লি? কাইফের উত্তর, ‘‘অবশ্যই। পাওয়ারহিটাররাই গেমচেঞ্জার। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারেরা যে জায়গায় বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। নিলামে প্রত্যেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজিই তাদের দলে রাখতে চাইবে। সেই সঙ্গেই আমরা জোর দেব পেসারের উপর।’’ কেন? ‘‘কারণ, ট্রেন্ট বোল্টকে ছেড়ে দেওয়ার পরে পেস বিভাগেও একজন বিকল্প প্রয়োজন।’’

আরও পড়ুন: ডার্বি বাতিল নিয়ে মোহনবাগান ও পুলিশের ভিন্ন সুর, ক্ষিপ্ত ইস্টবেঙ্গল

ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারদের মধ্যে কাদের উপর নজর থাকবে দিল্লির? কাইফের উত্তর, ‘‘হেটমায়ার খুব ভাল খেলছে, শেল্ডন কটরেলও দুরন্ত বল করেছে। তাদের সঙ্গেই নিলামে বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে শেই হোপ। অসাধারণ ব্যাটসম্যান। এক দিক থেকে ইনিংস গড়ার কাজটি কিন্তু খুব ভাল করে। উইকেটকিপিংও করতে পারে। কিন্তু হোপ যে হেতু পাওয়ারহিটার নয়, তাই ওর মতো ব্যাটসম্যানের উপর ফ্র্যাঞ্চাইজির নজর কম থাকে। আমরা তাই হোপকে চেষ্টা করতে পারি।’’

আর পেস বিভাগ? তা নিয়ে কী পরিকল্পনা? ‘‘মিচেল স্টার্ক না থাকায় প্যাট কামিন্সের দর উঠবে। ওকে সহজে পাওয়ার সুযোগ কম। এ বার দেখা যাক নিলাম অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন