বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স মিটে শুরুটা ভাল হল না ভারতের।
প্রথম দিন প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে গেলেন স্প্রিন্টার দ্যুতি চন্দ। ওড়িশার এই স্প্রিন্টারের মতোই প্রথম রাউন্ডেই অভিযান শেষ হয়ে গেল ৪০০ মিটারে যোগদানকারী ভারতীয় দৌড়বীর মহম্মদ আনাস ইয়াহিয়ার। হেপ্টাথলনে অনেক পিছিয়ে বাংলার স্বপ্না বর্মনও।
বিশ্ব মিটে যোগদানকারী পর্বের গণ্ডি টপকাতে না পারলেও শেষ মুহূর্তে দলে ঢুকেছিলেন দ্যুতি। এ দিন ১০০ মিটার স্প্রিন্টের পঞ্চম হিটে তিনি দৌড় শেষ করতে সময় নেন ১২.০৭ সেকেন্ড। ১০০ মিটারে দ্যুতির সেরা সময় ছিল ১১.৩০ সেকেন্ড। কিন্তু এ দিন সেই সময়ের ধারে কাছে যেতে পারেননি দ্যুতি। ১০০ মিটারে যোগদানকারী ৪৭ জন অ্যাথলিটের মধ্যে তিনি শেষ করেন ৩৮ নম্বরে।
এ দিন মেয়েদের ১০০ মিটার হিটের আগে অলিম্পিক্স স্টেডিয়ামে বৃষ্টি হয়েছিল। কেন এই হতাশাজনক পারফরম্যান্স তা জানতে চাইলে দ্যুতি আঙুল তুলেছেন সেদিকেই। তাঁর কথায়, ‘‘বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রা কমে গিয়েছিল। ফলে স্টার্টিং-এ যে ভাবে ছিটকে বেরোনো দরকার ছিল তা হয়নি। তার উপর পাশের লেনে জার্মানির তাতিয়ানা পিন্টো ফলস স্টার্ট নিয়ে বাতিল হয়ে যাওয়ায় মানসিক চাপ বেড়ে গিয়েছিল।’’
৪০০ মিটারে সেমিফাইনালে যেতে গেলে মহম্মদ আনাস ইয়াহিয়াকে প্রথম তিনে থাকতে হত। না হলে দৌড় শেষ করতে হত ৪৫.৭০ সেকেন্ডের কমে। কিন্তু হিটে চতুর্থ হয়ে ছিটকে যান তিনি। সময়ও নেন ৪৫.৯৮ সেকেন্ড। ছিটকে যাওয়ার আনাসের প্রতিক্রিয়া, ‘‘প্রথম একশো মিটারের পর ভেবেছিলাম যে সেমিফাইনালে যাচ্ছি। কিন্তু শেষ তিনশো মিটারে পারলাম না।’’
হেপ্টাথলনে বাংলার স্বপ্না বর্মন ১০০ মিটার হার্ডলসে সময় করেন ১৪.১৪ সেকেন্ড। কিন্তু নিজের সেরা ইভেন্ট হাই জাম্প-এ প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হন জলপাইগুড়ির মেয়ে। হাইজাম্পে স্বপ্নার সেরা সাফল্য ছিল ১.৮৭ মিটার। সেখানে তিনি এ দিন লাফিয়েছেন ১.৭১ মিটার। শেষ খবর, তিনি ২৯ নম্বরে।