যুবভারতী দখলের যুদ্ধে আই এস এল হারিয়ে দিচ্ছে আই লিগ-কে। হোডিং, ব্যানার, ইলেকট্রনিক্স বোর্ড এবং সম্প্রচার—সবেতেই। এমনকী দর্শক সংখ্যাতেও। সব মিলিয়ে নীতা অম্বানির টুনার্মেন্টের সঙ্গে লড়তে গিয়ে ল্যাজেগোবরে অবস্থা দুই প্রধানের।
একটি ম্যাচ সংগঠনের জন্য যেখানে এটিকে খরচ করছে পঁচিশ লাখ টাকা, সেখানে একটি ম্যাচের জন্য সাড়ে সাত লাখ টাকা খরচ করতে গলদঘর্ম অবস্থা ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের। মাঠ সাজানোর খরচ করবেন কী করে? বিপণনের জন্য এটিকে তাদের ফুটবলার ও কোচেদের ছবিতে শহর ভরে দিলেও দুই প্রধানের কোনও ব্যানার শহরের কোথাও চোখে পড়েনি। এখানেই শেষ নয়, এটিকে যুবভারতীতে সব ম্যাচ করার অনুমতি পেয়ে গেলেও ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানকে বেশ কিছু ম্যাচ বারাসতে খেলতে যেতে হবে বলে খবর। আই লিগের সিইও সুনন্দ ধর এ দিন ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে বসেই বললেন, ‘‘মাঠ জোগাড়ের দায়িত্ব ক্লাবের। যুবভারতীতে না পেলে বারাসতে খেলা হবে। সূচি বদলাবে না।’’
আরও পড়ুন: মেসির ‘ঘোস্ট গোল’ বিতর্কে রেফারি
অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের জন্য প্রায় দেড় বছর পর খুলেছে সল্টলেক স্টেডিয়াম। রবিবার সেখানে ছিল এটিকে-র প্রথম ম্যাচ। ওই ফ্র্যাঞ্চাইজি টিমের কর্তারা নানাভাবে ঝাঁ চকচকে করে তুলেছিলেন যুবভারতীকে। শুধু তাই নয়, বত্রিশ হাজার দর্শক খেলা দেখতে এসেছিলেন টেডি শেরিংহ্যামের টিমের। আজ মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গল-আইজলের ধুন্ধুমার ম্যাচ দেখতে এর অর্ধেকও হবে কী না সন্দেহ। কারণ সদস্য এবং টাকার টিকিট মিলিয়ে লাল-হলুদ কর্তারা ছেপেছেন তেইশ হাজার টিকিট। এর মধ্যে কত বিক্রি হবে তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন কর্তারাই। টিমের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, ‘‘কে যাবে মঙ্গলবার রাত আটটায় খেলা দেখতে? বাড়ি ফিরবে কী করে? ফেডারেশনের কাছে আই লিগের কোনও গুরুত্বই নেই। আইএসএল খেলা ফেলছে ছুটির দিন বিকেলে। আর আমাদের চেন্নাইয়ে খেলা দেওয়া হচ্ছে দুপুর দু’টোয়। অথবা রাত আটটায়।’’ দর্শকরা যাতে খেলার শেষে বাড়ি ফেরার বাস পান সে জন্য পরিবহন দফতরকে অনুরোধ করে কিছু বাস থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন কর্তারা। লাল-হলুদ কর্তারা যখন ফেডারেশনকে তোপ দাগছেন, তখন তাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে আইজল। তাদের পর্তুগিজ কোচ পাওলো মেনেসেস এ দিন বলে দিলেন, ‘‘যুবভারতীর প্র্যাকটিস মাঠ চেয়েও আমরা পাইনি। আমাদের ইস্টবেঙ্গল মাঠে অনুশীলন করতে গিয়ে বিদেশি মিডিও আন্দ্রে ইওনেসু ও সেনা ফেনাই চোট পেয়েছেন। এতে আমাদের বড় ক্ষতি হয়ে গেল। এটা যদি এত ভাল মাঠই হয় ওঁরা অনুশীলন করল না কেন? তা হলে বুঝতে পারত মাঠের অবস্থা।’’