র্যান্টি-বেলো। যঁাদের নিয়ে উদ্বেগে লাল-হলুদ।
বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য তাঁর আবাসিক শিবিরে র্যান্টি মার্টিন্স, বেলো রজ্জাককেই পাচ্ছেন না। অন্তত ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সে রকমই ধারণা। নাইজিরিয়া থেকে শুক্রবার বিকেলে গতবারের আই লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা র্যান্টি দাবি করেছেন, তাঁর ভিসা সমস্যা মিটে গিয়েছে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমার ভিসা সমস্যা মিটে গিয়েছে। এখন কলকাতায় ফেরার অপেক্ষা।’’
যা জেনে আবার অবাক ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। ‘‘র্যান্টি ঠিক বলছে না। গত মঙ্গলবার ওর সব কাগজপত্র জমা পড়েছে। দশ দিনের মধ্যে ভিসা পাওয়া যাবে বলে শুনেছি। টিকিট নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। ও ভিসা পেলেই ক্লাব থেকে টিকিট পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আমরা কথা বলে দেখছি। তবে ওর আবাসিক শিবিরে যোগ দেওয়ার সুযোগ আর কোথায়!’’ এ দিন বললেন তিনি। বেশি রাতের খবর আবার, ইস্টবেঙ্গল কর্তারা র্যান্টির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি না কি জানিয়েছেন, ভিসা এখনও পাননি। যা নিয়ে চূড়ান্ত ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
লাল-হলুদের আবাসিক শিবির নয় দিন হয়ে গেল। জুলাইয়ের শেষ দিন শিবির শেষ হবে। কল্যাণীতে এ দিনও দু’বেলা প্র্যাকটিস হয়েছে। ইস্টবেঙ্গল কোচ সব ফুটবলারকে আবাসিক শিবিরে চেয়েছিলেন। কলকাতা লিগের আগে পুরো টিমকে তৈরি করতে। কিন্তু ডু ডং ছা়ড়া কোনও বিদেশিকে তিনি শিবিরে পাচ্ছেন না এটা প্রায় পরিষ্কার। এ দিন তাই বিশ্বজিৎ বললেন, ‘‘আমি জানি না র্যান্টি-বেলোর ফিটনেস এই মুহূর্তে কী রকম আছে। কলকাতা লিগে শুরু থেকে খেলতে পারবে কি না, সেটাও এখনই বলা সম্ভব নয়। আগে আসুক। তার পর ওদের ফিটনেস দেখে সিদ্ধান্ত নেব। তবে বাকি ফুটবলারদের সঙ্গে ওদের মানিয়ে নিতে প্রথমে একটু সমস্যা তো হবেই। কিন্তু ভিসা না পেলে কী আর করা যাবে!’’
এ দিকে, গত বার ইস্টবেঙ্গল এবং আটলেটিকো দে কলকাতার জার্সি গায়ে খেলা সফল গোলকিপার শুভাশিস রায়চৌধুরি আবার চোট সারাতে ব্রাজিলে গিয়েছেন। বিশেষ রিহ্যাবের মাধ্যমে দ্রুত সেরে ওঠার জন্য। ব্রাজিল থেকে ফোনে শুভাশিস জানালেন, ‘‘আমার চিকিৎসা চলছে। ফিরতে একটু সময় লাগবে। তবে আইএসএলের আগে পুরো ফিট হয়ে উঠব।’’ গত বার আই লিগের ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন শুভাশিস। সেই কারণে এ বার এটিকে কোচ হাবাস তাঁকে দলে নেননি। তবে গতবারের ভাল পারফরম্যান্সের জন্য দিল্লি ডায়নামোস শুভাশিসকে সই করিয়েছে। আইএসএলের পর ইস্টবেঙ্গলে তাঁর যোগ দেওয়ার কথা, ব্রাজিল যাওয়ার আগে দাবি করেছেন শুভাশিস। লাল-হলুদ কোচ বিশ্বজিৎ অবশ্য বললেন, ‘‘শুভাশিসের চোট রয়েছে। ও যদি চোট পুরো সারিয়ে উঠতে পারে, তবেই ওকে নেওয়ার প্রশ্ন আসছে। তা ছাড়া ওকে নেওয়ার ব্যাপারটা দেখবেন ক্লাব কর্তারা।’’
এ দিকে, ইউনাইটেড স্পোর্টসের হেড কোচ হলেন বিনো জর্জ। কেরল স্পোর্টস কাউন্সিলের কোচ ছিলেন তিনি।