ডুডু-গুরবিন্দর সংঘর্ষ প্র্যাক্টিসে 

বুধবার সকালে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন সংলগ্ন মাঠে ফুটবলারদের দু’দলে ভাগ করে ম্যাচ খেলাচ্ছিলেন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর (টিডি) সুভাষ ভৌমিক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৮ ০৩:০৬
Share:

উত্তপ্ত: গুরবিন্দর ও ডুডু-কে শান্ত করার চেষ্টায় আমনা ও সুভাষ। —নিজস্ব চিত্র

ফের বিতর্কে গুরবিন্দর সিংহ! এ বার অনুশীলনেই সতীর্থ ডুডু ওমাগবেমি-র সঙ্গে সংঘাতে জড়ালেন ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার।

Advertisement

বুধবার সকালে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন সংলগ্ন মাঠে ফুটবলারদের দু’দলে ভাগ করে ম্যাচ খেলাচ্ছিলেন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর (টিডি) সুভাষ ভৌমিক। বল দখলের লড়াইকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ালেন ডুডু ও গুরবিন্দর। দুই ফুটবলারকে শান্ত করতে আসরে নামলেন মহম্মদ আল আমনা, কাতসুমি ইউসা-সহ দলের বাকিরা। তাতেও অবশ্য রাগ কমেনি ডুডু-র। মাঠের বাইরে বেরিয়ে যান নাইজিরীয় তারকা। তাঁকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে মাঠে ফেরান এদুয়ার্দো ফেরিরা। আলাদা করে কথা বলেন সুভাষও।

সতীর্থদের সঙ্গে গুরবিন্দরের সংঘাত অবশ্য নতুন নয় লাল-হলুদ শিবিরে। এর আগে এডমিলসন পাডাল ও টোলগে ওজবি-র সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন তিনি। ইস্টবেঙ্গল টিডি অবশ্য ডুডু বনাম গুরবিন্দর দ্বৈরথ নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নন। প্র্যাক্টিসের পরে তিনি বললেন, ‘‘ফুটবলারদের এই মানসিকতাটাই তো চাই। মোহনবাগানে খেলার সময় অনুশীলনে প্রত্যেক দিনই আমার সঙ্গে সুব্রতর (ভট্টাচার্য) ঝামেলা হতো। এক জন আর এক জনের কলার চেপে ধরতাম। আমার কাছে বিষয়টা দারুণ উপভোগ্য।’’

Advertisement

সুভাষের অন্যতম প্রিয় ছাত্র আই এম বিজয়ন বলেছিলেন, ফুটবলারদের থেকে সেরাটা কী ভাবে বার করতে হয় খুব ভাল জানেন আসিয়ানজয়ী কোচ। এ দিন সেটাই দেখা গেল। বুধবার সকাল আটটায় অনুশীলন শুরু হওয়ার কথা ছিল ইস্টবেঙ্গলে। সাড়ে সাতটার মধ্যেই মাঠে পৌঁছে গিয়েছিলেন ফুটবলাররা। ড্রেসিংরুমের বাইরে মাটিতে তোয়ালের উপর শুয়ে স্ট্রেচিং করছিলেন কাতসুমি। মাঠে ঘুরছিলেন ডুডু। লাল-হলুদ টিডি প্রথমে ডেকে নিলেন নাইজিরীয় স্ট্রাইকারকে। একান্তে কিছুক্ষণ কথা বললেন ডুডু-র সঙ্গে। তার পর কথা বললেন কাতসুমির সঙ্গে।

চোট সারিয়ে সদ্য যোগ দেওয়া নিখিল পূজারি একা একা পায়ের জোর বাড়ানোর অনুশীলন করছিলেন। সুভাষ তাঁকে বললেন, ‘‘তুমি গার্সিয়ার কাছে যাও। এই মুহূর্তে ওর মতো ফিজিক্যাল ট্রেনার কেউ নেই ভারতীয় ফুটবলে।’’ এখানেই শেষ নয়। প্র্যাক্টিস ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই ঘোষণা করলেন, জয়ী দলকে পুরস্কৃত করবেন। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর নিজেই পকেট থেকে টাকা বার করে তুলে দিলেন ফুটবলারদের হাতে। তবে নতুন বিদেশি খালিদ আউচো এ দিন মাঠে এলেও প্র্যাক্টিস করেননি। ডাক্তারি পরীক্ষার পরে যুবভারতীতে এসেছিলেন দলের অনুশীলন দেখতে। আলাদা করে কথা বললেন টিডি-র সঙ্গেও। কিন্তু হঠাৎ করেই খালিদ-কে নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হল লাল-হলুদ অন্দরমহলে। সুভাষ বলছিলেন, ‘‘২৪ ও ২৭ মার্চ উগান্ডা জাতীয় দলের হয়ে খেলতে হয়তো ওকে যেতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন