East Bengal

লাজংকে নাস্তানাবুদ করে ৫-১ জয় ইস্টবেঙ্গলের

ম্যাচের শুরু থেকে এ দিন লাজং রক্ষণে একের পর এক আক্রমণ হানেন আল আমনা-কাটসুমি ইউসারা। আর এরই সুবাদে ম্যাচের ১৩ মিনিটে প্রথম গোল পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। গোল করে লাল-হলুদ ব্রিগেডকে এগিয়ে দেন সিরিয়ান ম্যাজিশিয়ান আল আমনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ২১:১৬
Share:

গোলের পর আমনাকে ঘিরে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

মাঠের বদল হতেই জয়ে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। শনিবার বারাসতের বিদ্যাসাগর ক্রীড়াঙ্গনে চলতি বছরের আই লিগে প্রথম জয়ের মুখ দেখল লাল-হলুদ ব্রিগেড। শুধু জয় বললে ভুল হবে, এক প্রকার শিলং লাজং এফসি-কে গোলের মালা পরিয়ে শনিবার মাঠ ছাড়ল ইস্টবেঙ্গল। লিগের অন্যতম কঠিন প্রতিপক্ষকে হারিয়ে দিল ৫-১ ব্যবধানে।

Advertisement

প্রথম ম্যাচে আইজল এফসি-র সঙ্গে ড্র এবং দ্বিতীয় ম্যাচে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে হেরে লিগের লড়াইয়ে বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল লাল-হলুদ। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল আই লিগ জয়ী কোচ খালিদ জামিলের স্ট্র্যাটেজি নিয়েও। শুধু কোচই নন, সাঁড়াশি চাপে ছিলেন ফুটবলাররাও। ফলে ক্রমবর্ধমান বিতর্কের উপর যবনিকা টানতে এই ম্যাচ জিততেই হত ইস্টবেঙ্গলকে। ফলে ম্যাচের শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের মধ্যে তাগিদটা ছিল চোখে পড়ার মতো।

ম্যাচের শুরু থেকে এ দিন লাজং রক্ষণে একের পর এক আক্রমণ হানেন আল আমনা-কাটসুমি ইউসারা। আর এরই সুবাদে ম্যাচের ১৩ মিনিটে প্রথম গোল পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। গোল করে লাল-হলুদ ব্রিগেডকে এগিয়ে দেন সিরিয়ান ম্যাজিশিয়ান আল আমনা। আমনার গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের গোল ইস্টবেঙ্গলের। ম্যাচের ১৮ মিনিটে গোল করে যান মোহনবাগান থেকে আসা এডুয়ার্ডো ফেরেরা। পর পর দু’গোল হজম করে তখনই ম্যাচে কোণঠাসা হয়ে পড়ে লাজং। এর পরও একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে মশাল বাহিনী। তবে ভেদশক্তির অভাবে সেই সুযোগ কাজে আসেনি। প্রধমার্ধের খেলা শেষ হয় ২-০ ব্যবধানেই।

Advertisement

আশা করা হয়েছিল দ্বিতীয়ার্ধে স্ট্র্যাটেজিতে বদল এনে গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে উঠবে লাজং এফসি। কিন্তু আশাই সার! ছক বা ফর্মেশনে পরিবর্তন তো দূর অস্ত্, নিজেদের খেলাটাই যেন এ দিন হারিয়ে ফেলেছিল পর পর দুই ম্যাচ জিতে কলকাতায় আসা লাজং।

আরও পড়ুন: চোট-আঘাতের সমস্যাই ভাবাচ্ছে সঙ্ঘবদ্ধ বাগানকে

আরও পড়ুন: পুরস্কার চাই? মাদ্রিদে এসো নেমার

অন্য দিকে, প্রথমার্ধের থেকেও দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় ক্ষিপ্রতা বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। ছকেও পরিবর্তন আনেন খালিদ। আর এতেই শেষ লাজং। ম্যাচের ৫২ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে খেলার ফল ৩-০ করেন রালতে। আল আমনার ডিফেন্স চেরা পাস জালে জড়াতে ভুল করেননি আইজল থেকে আসা এই তারকা।

এই ভাবেই লাজং ডিফেন্সকে নাড়িয়ে গোল করে গেলেন এডুয়ার্ডো। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

কাটসুমি-আমনার যুগলবন্দিতে তখন ত্রাহি ত্রাহি রব লাজং রক্ষণে। এরই মধ্যে ফের এক বার ঝলসে ওঠেন পাহাড় থেকে ইস্টবেঙ্গলে খেলতে আসা ফুটবলারটি। লাজং ডিফেন্স বল ক্লিয়ার করতে ভুল করলে ফিরতি বলে গোল করে যান রালতে। ৪-০ গোলের লিড নিয়ে ভেজা মাঠে তখন যেন সেই পুরনো ইস্টবেঙ্গলের প্রতিচ্ছবি। সেই লড়াকু মনোভাব, সেই হাল না ছাড়া শরীরী ভাষা। এরই মধ্যে ম্যাচের ৭৭ মিনিটে রালতেকে বক্সের মধ্যে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। পেনল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি সবুজ-মেরুন জার্সি খুলে ইস্টবেঙ্গলে খেলতে আসা কাটসুমি ইউসা।

ম্যাচের অম্তিম লগ্নে লাজংয়ের হয়ে একটি গোল শোধ করেন স্যামুয়েল। তবে, একটি মাত্র গোল হজম করলেও এই জয়ের ফলে চাপ কাটিয়ে কিছুটা শ্বাস নেওয়ার অবকাশ পেলেন লাল-হলুদের কোচ ও ফুটবলাররা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন