কলকাতার দুই প্রধানের হঙ্কার বা দাবিকে যে ফেডারেশন ও আইএসএল কর্তারা গুরুত্ব দিচ্ছেন না, সেটা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল মঙ্গলবার।
শনিবার দিল্লিতে আই লিগ ক্লাবগুলোর সঙ্গে ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেলের আলোচনার পর নেওয়া সিদ্ধান্ত তিন দিনের মধ্যে বদলে দিলেন ফেডারেশন সচিব কুশল দাশ। কুশলবাবু চিঠি দিয়ে মঙ্গলবার জানালেন, ‘‘আইএসএল কর্তাদের সঙ্গে কথা না বলে আমরা কোনও সিদ্ধান্ত জানাতে পারছি না।’’ অথচ সভায় ঠিক হয়েছিল, আলোচনার পর যে প্রস্তাবগুলো ফেডারেশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে তা মঙ্গলবারের মধ্যে লিখিত ভাবে পাঠানো হবে ক্লাবগুলোকে। যা দেখে সিদ্ধান্ত জানাবেন দুই প্রধানের কর্তারা। কিন্তু সেই কথা রাখেননি ফেডারেশন কর্তারা। আইএসএলের নতুন দুই ফ্র্যা়ঞ্চাইজি নিলামের জন্য মুম্বইতে গিয়েছিলেন কুশল। ফিরে এসেই তিনি উল্টো সুর গাইছেন। যা থেকে স্পষ্ট, আইএসএল এবং আই লিগ একই সঙ্গে চলার পর দুই লিগের আট বা দশ দলকে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সেটা আদৌ হবে কিনা তা নির্ভর করছে নীতা অম্বানীর কোম্পানির ইচ্ছের ওপর। প্রফুল্ল-কুশলদের কোনও ক্ষমতাই নেই।
কুশলের চিঠি পাওয়ার পর বিভ্রান্তি আরও বেড়েছে দুই প্রধানে। মোহনবাগান সহ-সচিব সৃঞ্জয় বসু বললেন, ‘‘কী ভাবে ফেডারেশন চলছে সেটা বোঝা যাচ্ছে। সভায় হল এক কথা আর চিঠি এল অন্য।’’ আর ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারের মন্তব্য, ‘‘ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট নিজেই নানা প্রস্তাব দিয়েছিলেন আমাদের। আশা করব উনি সেই প্রতিশ্রুতি রাখবেন।’’ দুই ক্লাবের সঙ্গে আমন্ত্রিত হয়ে দিল্লির সভায় গিয়েছিলেন আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়ও। ফেডারেশনের এই উলটপুরানের চিঠি পেয়ে তিনি ক্ষুব্ধ এবং অবাক। উৎপলবাবু হোয়াটসঅ্যাপ করে ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেলকে এ দিন ফের লিখেছেন, ‘‘যা কথা হয়েছিল সভায় তার উল্টো কথা লিখেছেন কুশলবাবু। এটা আমার ও আপনার দু’জনের কাছেই অসম্মানের। আশা করব আপনি বিষয়টি দেখবেন।’’ তারপর আর কোনও উত্তর আসেনি ফেডারেশনের তরফ থেকে। আইএফএ সচিব অবশ্য বললেন, ‘‘দেখা যাক বুধবার কী হয়? তারপর পরিস্থিতি দেখে আবার আলোচনায় বসব ক্লাবদের সঙ্গে।’’ পরিস্থিতি যা তাতে কলকাতার দুই প্রধানের কর্তারাই ধরে নিয়েছেন, খেললে এ বার তাদের মাথা নিচু করে আই লিগেই খেলতে হবে। পরে প্রস্তাবিত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ হোক বা না হোক।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ক্রিকেট এখন সকলের স্বপ্ন