অধিনায়ক হিসেবে ৭৭.৭৮ শতাংশ ওয়ান ডে জেতার নজির তৈরি করলেন কোহালি। ৩৬টি ম্যাচে ২৮টি জয়, ৭টি হার, একটিতে কোনও ফল হয়নি। এত দিন অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি শতাংশ ওয়ান ডে ম্যাচ জেতার নজির ছিল ক্লাইভ লয়েডের (৭৭.৭১)।
২০১৩-এর পর এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পর পর দুটো ম্যাচ জিতল ভারত। তার আগে ভারত পর পর ছ’টি ম্যাচ হেরেছিল।
চেন্নাই ম্যাচেই ধোনি সব ফর্ম্যাটের ক্রিকেট মিলিয়ে হাফ সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করলেন। এই ১০০ হাফ সেঞ্চুরির মধ্যে ৬৬টিই ওয়ান ডে-তে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সাত নম্বর।
হার্দিক পাণ্ড্য ওয়ান ডে-তে তাঁর সর্বোচ্চ রানটি পেলেন এই ম্যাচে। ৬৬ বলে করলেন ৮৩ রান। এর আগে তাঁর সর্বোচ্চ ৭৬ রান ছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ব্যাট হাতে হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে জোড়া উইকেটও পেলেন হার্দিক। এর আগে কলকাতায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হাফ সেঞ্চুরি ও তিন উইকেট পেয়েছিলেন।
এই মরসুমে এখনও পর্যন্ত ভারতীয়দের মধ্যে হার্দিকই সবচেয়ে বেশি ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন। ১৭টি ইনিংসে ৩২টি ওভার বাউন্ডারি।
ছয় ও সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৭৫-এর উপর রান করলেন ধোনি (৭৯) ও হার্দিক (৮৩)। ভারতীয় দলের এক দিনের ম্যাচের ইতিহাসে এমনটা চতুর্থবার হল। দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ষষ্ঠ উইকেটে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ (১১৮) এই প্রথম।
অধিনায়ক হিসেবে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার একদিনের ম্যাচে বিরাট কোহালি কোনও রান না করেই প্যাভেলিয়নে ফিরলেন। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওভালে গত ৮ জুন কোনও রান করতে পারেননি। কোহালির ওয়ান ডে-তে মোট ডাক ১২টি।
এটাই প্রথম স্টিভ স্মিথ ভারতের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ম্যাচে ১০ রানের গণ্ডি পেড়তে পারলেন না। ১ রানেই ফিরতে হল প্যাভেলিয়নে। এর আগে তাঁর সর্বনিম্ন রান ছিল ২৮। গড় ছিল ৬৬.৭।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল চার ছক্কা হাঁকালেন। ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকে তিনি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে চার ছক্কা ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৭ ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন।
এটা অ্যাওয়ে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার টানা নবম হার। এর আগে টানা পাঁচ ম্যাচ হারের রেকর্ড ছিল অস্ট্রেলিয়ার।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার যুজবেন্দ্র চাহাল এক ম্যাচে তিন উইকেট নিলেন।