লিগ-জট কাটাতে ভরসা এখন ফিফা

আই লিগ ও আইএসএলের সংযুক্তিকরণের উদ্যোগ অবশ্য বছরখানেক আগেই শুরু করে দিয়েছে ফেডারেশন। আই লিগের অধিকাংশ ক্লাবগুলোর একটি লিগে আপত্তি নেই।

Advertisement

শুভজিৎ মজুমদার

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৭ ০৪:০৫
Share:

আই লিগ ও আইএসএলের সংযুক্তিকরণে এ বার আসরে নামল বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ফিফা!

Advertisement

দু’সপ্তাহের সফরে সফরে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ভারতে পৌঁছচ্ছেন ফিফা ও এএফসি-র প্রতিনিধিরা। প্রথমে তাঁরা দিল্লিতে বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক, সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন ও দিল্লি ডায়নামোজ এফসি কর্তাদের সঙ্গে। তার পর ৭ সেপ্টেম্বর মুম্বইয়ে কথা বলবেন আইএমজিআর কর্তাদের সঙ্গে। বৈঠকের পর পুণে, গোয়া এবং জামশেদপুরে সফর সেরে ১৫ সেপ্টেম্বর কলকাতায় আসবেন তাঁরা। সেই দিনই ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডান ও এটিকে কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ফিফা ও এএফসি-র প্রতিনিধিরা। থাকবেন ফেডারেশন কর্তারাও। কলকাতায় বৈঠক সেরে আইজল, শিলং এবং চণ্ডীগড়েও যাচ্ছে এই প্রতিনিধি দল। সমস্ত আই লিগ ও আইএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ফের ১৮ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ফেডারেশন কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তাঁরা।

ফিফার হস্তক্ষেপে কি সমস্যা আদৌ মিটবে?

Advertisement

আই লিগের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) সুনন্দ ধর সোমবার দিল্লি থেকে ফোনে আনন্দবাজারকে বললেন, ‘‘সকলেই একটা লিগের পক্ষে। কিন্তু কী ভাবে আইএসএল ও আই লিগের সংযুক্তিকরণ হবে তার রূপরেখা প্রস্তুত করতেই ফিফা ও এএফসি-র প্রতিনিধিরা আসছেন।’’ তবে আগামী মরসুমেই দু’টো লিগ মিশে যাবে কি না তা নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন সুনন্দ। তিনি বললেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য বছর দু’য়েকের মধ্যে দেশে একটাই লিগ চালু করার। আশা করছি, আলোচনার মাধ্যমে এ বার সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসবে।’’

আই লিগ ও আইএসএলের সংযুক্তিকরণের উদ্যোগ অবশ্য বছরখানেক আগেই শুরু করে দিয়েছে ফেডারেশন। আই লিগের অধিকাংশ ক্লাবগুলোর একটি লিগে আপত্তি নেই। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই তাঁরা ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি দিয়ে খেলতে রাজি নয়। যা নিয়ে চরমে পৌঁছেছে ফেডারেশনের সঙ্গে আই লিগের ক্লাবগুলোর সংঘাত। এর ফলে এক দেশ এক লিগ— ভারতের ফুটবল নিয়ামক সংস্থার পরিকল্পনা বারবার ধাক্কা খেয়েছে। এমনকী, এএফসি-ও সমাধানসূত্র বের করতে ব্যর্থ।

গত ৭ জুন কুয়ালা লামপুরে আই লিগের ক্লাব ও আইএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর প্রতিনিধি এবং ফেডারেশন কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন এএফসি প্রেসিডেন্ট দাতো উইন্ডসর। ছিলেন ফুটবলারদের প্রতিনিধি হিসেবে ভাইচুং ভুটিয়া ও রেনেডি সিংহ। দীর্ঘ বৈঠকের পরেও কোনও সমাধানসূত্র না বেরোনোয় ফেডারেশনকে এএফসি অনুরোধ করে সকলকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যতের রূপরেখা প্রস্তুত করতে। সেই সঙ্গে এটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, ভারতীয় ফুটবলে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের অবদান কোনও মতে অস্বীকার করা যাবে না। এএফসির পরামর্শ অনুযায়ী গত ১২ জুন নয়াদিল্লিতে আই লিগের ক্লাব এবং আইএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ফেডারেশন কর্তারা। যদিও লাভ কিছুই হয়নি।

এ বার তাই ফিফার দিকেই তাকিয়ে ফেডারেশনের কর্তারা। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থার হস্তক্ষেপে দুই লিগের সংযুক্তিকরণ হবে কি না, তা অবশ্য সময়ই বলবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement