অনূর্ধ্ব ১৪ ফুটবল ট্রায়াল ক্যাম্প থেকে ফাইনাল ক্যাম্পের জন্য নির্বাচিত হল জেলার পাঁচ খুদে ফুটবলার। একই ক্যাম্প থেকে নির্বাচিত হয়েছে পড়শি মুর্শিদাবাদের তিন খুদে ফুটবলারও।
যুবকল্যাণ দফতরের উদ্যোগে শনি ও রবি এই দু’দিন খুদে ফুটবল প্রতিভা অন্বেষণে ট্রায়াল ক্যাম্প আয়োজিত হল সিউড়ি জেলা ক্রীড়া অ্যাসোশিয়েসনের মাঠে। দু’টি জেলার শতাধিক খুদে পড়ুয়ার মধ্যে থেকে ওই আট জনের বাছাই হয়েছে। বীরভূমের যুবকল্যাণ আধিকারিক সৈকত হাজারা বলেন, ‘‘জেলার যে পাঁচ জন নির্বাচিত হয়েছে, তাদের সকলেই সিউড়ি মহকুমার। রাজনগর থেকেই রয়েছে তিন জন। বাছাই কিশোর ফুটবলাররা আগামী ২৩-২৪ তারিখ ফাইনাল ক্যাম্পে খড়দহে যোগ দেবে।’’ একই বক্তব্য মুর্শিদাবাদের যুব কল্যাণ আধিকারিক সত্যজিৎ মুখোপাধ্যায়ের।
কর্তাদের অনেকের মতে, ফুটবল বাঙালির প্রিয় খেলা হলেও নতুন প্রজন্ম সে ভাবে এ খেলার প্রতি আগ্রহী হচ্ছে না। মাঠ কাঁপানো ফুটবলারদের সংখ্যাও কমছে। ‘বডি কন্টাক্ট গেম’ বলে অভিভাবকেরাও তাঁদের সন্তানদের ফুটবল খেলায় আগ্রহ দিতে রাজি নন। সেই ফাঁক পূরণ করতেই ফুটবলে নতুন প্রতিভা অন্বেষণে আগ্রহী হয় রাজ্য্য সরকার। ফুটবলের জনপ্রিয়তা এবং প্লেয়ারদের জোগান অক্ষুণ্ণ রাখতে গত বছর থেকেই জেলার বিভিন্ন গ্রাম, মফস্বলে গিয়ে যুবকল্যাণ দফতরের উদ্যোগে খুদে ফুটবল-প্রতিভা খুঁজে বের করা শুরু হয়েছে।
বীরভূম ও পড়শি মুর্শিদাবাদের অনূর্ধ্ব ১৪ ফুটবলারদের বাছাই করতে মাঠে ছিলেন দুই প্রাক্তন ফুটবলার তথা কোচ মানস ভট্টাচার্য ও কম্পটন দত্তেরা। ফুটবলে আগ্রহ আছে এমন কোনও পড়ুয়া যাতে বাদ না যায়, তাই আগে থেকেই প্রচার চালিয়েছে জেলা যুবকল্যাণ দফতর। বিভিন্ন স্কুল, ক্লাব, পঞ্চায়েত এমনকি ব্লকস্তরে খবর পাঠিয়ে, কাগজে এবং লোকাল চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার করায় ভাল সাড়া মিলেছিল। ক্যাম্পে হাজির ছিল জেলার ৯১ জন এবং মুর্শিদাবাদের ২৮ জন পড়ুয়া। তার মধ্যে থেকে বাছা হয়েছে আট জনকে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি বিদ্যাসগর সাউ বলছেন, ‘‘এমন উদ্যোগ চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে ফুটবলে হারানো জায়গা ফেরত পাবে বাংলা।’’
ফাইনাল ক্যাম্পের জন্য নির্বাচিত বীরভূমের অনিল টুডু, দেবজিত মুখোপাধ্যায়, বিশাল শেখ কিংবা মুর্শিদাবাদের বাপি মারাণ্ডি, শৌভিক কুণ্ডুরা বলছে, ‘‘খুব ভাল লাগছে। শেষ পর্যন্ত যাতে জায়গা ধরে রাখতে পারি তার চেষ্টা করব।’’