গরমে কাহিল হ্যারি কেন। হারল তাঁর দলও। ছবি: রয়টার্স।
ক্লাব বিশ্বকাপে হেরে গেল বায়ার্ন মিউনিখ। বেনফিকার কাছে ০-১ গোলে হারল তারা। জিতেছে চেলসি। তারা ৩-০ গোলে হারিয়েছে এসপেরান্স দে তিউনিসকে। দুই দলই উঠে গিয়েছে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয়। অন্য ম্যাচে, অকল্যান্ড সিটি ১-১ ড্র করেছে বোকা জুনিয়র্সের বিরুদ্ধে। ফ্ল্যামেঙ্গো ১-১ ড্র করেছে লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি-র বিরুদ্ধে।
বায়ার্ন বনাম বেনফিকার ম্যাচে দুই দলের খেলোয়াড়েরাই অত্যধিক গরমে কাহিল হয়ে পড়েন। শার্লটের স্টেডিয়ামে তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একাধিক বার জলপানের বিরতি নিতে হয়। ২৫ মিনিটের মাথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন বেনফিকার জিয়ানলুকা প্রেসতিয়ানি। তাঁকে দ্বিতীয়ার্ধে তুলে নিতে হয়। হ্যারি কেন-সহ বায়ার্নের একাধিক খেলোয়াড়কেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। গরমে কেউই নিজের ছন্দে খেলতে পারেননি। ম্যাচের একমাত্র গোল ১৩ মিনিটে আন্দ্রেয়াস শেলদেরুপের। শেষ ষোলোয় বায়ার্নের প্রতিপক্ষ ব্রাজিলের ফ্ল্যামেঙ্গো।
চেলসির জার্সিতে প্রথম বার গোল করলেন লিয়াম ডেলাপ। অপর দু’টি গোল টোসিন আদারাবিয়ো এবং টাইরিক জর্জের। দু’টি অ্যাসিস্ট করেছেন এনজ়ো ফের্নান্দেস। প্রথমার্ধের সংযুক্তি সময়ে চেলসিকে এগিয়ে দেন টোসিন। দু’মিনিট পরেই গোল ডেলাপের। দ্বিতীয়ার্ধের সংযুক্তি সময়ে গোল টাইরিক।
আবহাওয়ার কারণে অকল্যান্ড-বোকা জুনিয়র্স ম্যাচ বন্ধ রাখতে হয় ৫০ মিনিট। ২৬ মিনিটে লতারো দি লোলোর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বোকা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতা ফেরান ক্রিশ্চিয়ান গ্রে। স্টেডিয়ামের উপরেই এক টানা বজ্রপাত হতে থাকায় ৫৪ মিনিটে ম্যাচ বন্ধ করে দেন রেফারি। ৫০ মিনিট বন্ধ থাকার পর খেলা শুরু হয়। দুই ক্লাবই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে।
অপর ম্যাচে, লস অ্যাঞ্জেলেসকে ৮৪ মিনিটে এগিয়ে দিয়েছিলেন ডেনিস বুয়াঙ্গা। দু’মিনিট পরেই গোল শোধ করেন ওয়ালাস ইয়ান।