স্ত্রী কস্তুরী (বাঁ দিকে) এবং সদ্যোজাত সন্তানের সঙ্গে শুভাশিস। ছবি: সমাজমাধ্যম।
বাবা হলেন মোহনবাগানের অধিনায়ক শুভাশিস বসু। রবিবার সমাজমাধ্যমে নিজেই এ কথা জানিয়েছেন তিনি। কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন স্ত্রী কস্তুরী ছেত্রী। মা-মেয়ে দু’জনেই ভাল আছেন।
এ বছর আইএসএলের কাপ জেতার প্রথম বার প্রকাশ্যে আসে যে শুভাশিসের স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। ট্রফি নিয়ে স্ত্রী-কে গলার পদক পরিয়ে দিয়ে সমাজমাধ্যমে ঘোষণা করেছিলেন শুভাশিস। অবশেষে তাঁর পরিবারে এল নতুন সদস্য।
সমাজমাধ্যমে শুভাশিস লিখেছেন, “ও এল, আমাদের স্বপ্ন পূরণ করল। আমাদের কন্যাসন্তান এসে গিয়েছে।” স্ত্রী-র সঙ্গে নিজের ছবিও দিয়েছেন শুভাশিস।
গত ২৪ জুলাই আনন্দবাজার ডট কম-এর তরফে ‘বছরের বেস্ট’ পুরস্কার পান শুভাশিস। তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক। সমাজমাধ্যমে শুভাশিস জানান, প্রতিটা ঘাম-রক্ত, উত্থান-পতন, আত্মত্যাগের স্বীকৃতি এই পুরস্কার। খেলার প্রতি শৃঙ্খলা, দায়বদ্ধতা এবং আবেগের স্বীকৃতি পেয়ে খুশি হন শুভাশিস।
জাতীয় দলে বাঙালি ফুটবলার কমে যাওয়া নিয়ে একটু হতাশাপ্রকাশ করেন তিনি। বলেন, “আমি চাইব আরও অনেক বাঙালি ফুটবলার উঠে আসুক। বাংলার হয়ে খেলুক এবং দেশের নাম উজ্জ্বল করুক। আমি সব সময় দেশের জন্য নিজের সেরাটা দেব। দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।”
নিজের উত্থানের কথাও শোনা যায় শুভাশিসের মুখে। বলেন, “আমি বাবার হাত ধরে ফুটবলে এসেছি। আমার বাবাও ফুটবলার ছিলেন। চাইতেন যাতে ভারতের জার্সি পরি। বাড়িতে যেন একটা ভারতের জার্সি আসে। বাবাই আমার অনুপ্রেরণা ছিল। ওঁকে খেলতেও দেখেছি। বাঙালির ঘরে ঘরে ফুটবলার ছোট থেকেই জন্মায়। সবাই কারও না কারও সমর্থক। আশা করি পরের প্রজন্মও উঠে আসবে।”