Jay Gupta

চার বছরের চুক্তিতে ইস্টবেঙ্গলে সই জয়ের, লাল-হলুদ জার্সিতে কী বললেন তরুণ ডিফেন্ডার?

ডুরান্ড কাপের ডার্বির আগেই কলকাতায় চলে এসেছিলেন জয় গুপ্ত। দলের সঙ্গে অনুশীলনও শুরু করে দিয়েছিলেন তরুণ ডিফেন্ডার। কাগজপত্র সংক্রান্ত কিছু সমস্যার জন্য তাঁর সই আটকে ছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:৫১
Share:

জয় গুপ্ত। ছবি: সংগৃহীত।

চার বছরের চুক্তিতে ইস্টবেঙ্গলে সই করলেন ডিফেন্ডার জয় গুপ্ত। এফসি গোয়া থেকে লাল-হলুদ শিবিরে এলেন তিনি। সুপার কাপেই তাঁকে দেখা যেতে পারে লাল-হলুদ জার্সি গায়ে। জয় যোগ দেওয়ায় ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

গত দু’মরসুম এফসি গোয়ার হয়ে খেলা ডিফেন্ডারকে রেকর্ড পরিমাণ টাকা খরচ করে নিয়ে এসেছে ইস্টবেঙ্গল। তবে ট্রান্সফার ফি হিসাবে কত টাকা দিতে হয়েছে, তা কোনও পক্ষই প্রকাশ করেনি। ২৩ বছরের ফুটবলার লেফট ব্যাক এবং লেফট সেন্টার ব্যাক পজিশনে খেলতে পারেন। বেশ কিছু দিন আগে কলকাতায় চলে এসেছিলেন জয়। দলের সঙ্গে অনুশীলনও শুরু করে দিয়েছিলেন। কাগজপত্র সংক্রান্ত কিছু সমস্যার জন্য তাঁর সই আটকে ছিল। চুক্তিপত্রে জয়ের সইয়ের কথা মঙ্গলবার জানিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তৃপক্ষ। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ২৭ নম্বর জার্সি পরে খেলবেন জয়।

জয়কে ইস্টবেঙ্গলে নিয়ে এসেছেন ইমামি ইস্টবেঙ্গলের হেড অফ ফুটবল থংবোই সিংটো। তিনি বলেছেন, ‘‘জয় তরুণ ডিফেন্ডার। দ্রুত গতিতে খেলতে পারে। ক্লাব এবং আন্তর্জাতিক স্তরে জয়ের দক্ষতা প্রমাণিত। জয় যোগ দেওয়ায় আমাদের ডিফেন্সের বৈচিত্র বাড়বে।’’

Advertisement

সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজ়োও। তিনি বলেছেন, ‘‘জয় প্রতিভাবান বাঁ পায়ের ডিফেন্ডার। প্রয়োজনে আক্রমণে উঠেও খেলতে পারে। ওর এই দক্ষতা আমাদের দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এফসি গোয়ার হয়ে যথেষ্ট ভাল পারফর্ম করেছে জয়। ভারতীয় দলের হয়েও ভাল খেলেছে।’’

ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিয়ে উচ্ছ্বাস গোপন করেননি তরুণ ফুটবলারও। জয় বলেছেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গলের মতো বড় ক্লাবে যোগ দিতে পেরে আমি সম্মানিত। আমার দক্ষতার উপর আস্থা রাখার জন্য ইস্টবেঙ্গল কর্তৃপক্ষ এবং কোচ ব্রুজ়োর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। গত বছর কলকাতাতেই আন্তর্জাতিক ফুটবলে আমার অভিষেক হয়েছিল। তাই কলকাতার মাঠে ইস্টবেঙ্গলের মতো দলের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়ে আমি উচ্ছ্বসিত। লাল-হলুদ জার্সি গায়ে মাঠে নামার জন্য অপেক্ষা করতে পারছি না। দলের সাফল্যে অবদান রাখতে চাই। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে কলকাতা ডার্বি জিততে চাই। সমর্থকদের মুখে হাসি দেখতে চাই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement